*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ২২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।
।।।।
।।।।
নিলা আমাকে দেখে নিচে আসলো।।।আমি অবাকই হলাম।কারন হঠাৎ করেই নিলার পিঠে যে পাখা চলে আসলো।।।এটা দেখে তো অবাক হওয়ারই কথা।
.
--কি হলো এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেনো?(নিলা)
.
--তোমার পিঠে হঠাৎ ডানা আসলো তাই দেখছি।(আমি)
.
--এতো দেখার কি আছে।(নিলা)
.
--কিন্তু ঔ লোক গুলো এভাবে বাধা কেনো?(আমি)
.
--শুনো তাহলে।।।।তুমি আর জারা তো ঘুমাচ্ছিলা।।।যে লোকটা গাড়ি চালাচ্ছিলো আমার তার নিয়তও ঠিক লাগছিলো না।।।বার বার আয়না দিয়ে আমাকে আর জারাকে দেখছিলো খারাপ নজর দিয়ে।।।আমি অধৈর্য্য হয়ে তাকে কিছু বলতে যাবো তখনই লোকটা গাড়ি থামালো।।।আশেপাশে একবার চোখ বুলালাম।।।দেখলাম কিছু নেশাগ্রস্ত মানুষ আমাদের দিকে আসছিলো।।।গাড়ি থেকে লোকটিও নেমে গেলো।।।ওদের সাথে দেখলাম সেই বয়স্ক লোকটাও।।।।সবাই আমাদের দিকেই আসছিলো।
।
আমার খুব ভয় লাগছিলো।।।আমি তোমাকে ডাক দিলাম কিন্তু তুমি উঠো নাই।।।তুমি গভীর ঘুমে ব্যস্ত ছিলে।।।আমি জারাকেও ডাক দি কিন্তু ও তোমার মতো গভীর ঘুমে ব্যস্ত ছিলো।।।লোকগুলো আমাকে আর জারাকে গাড়ি থেকে বের করলো।।।জারা তখন উঠে গেলো।।।ও এক ঝটকা দিয়েই সবাইকে ফেলে দিলো।।।মারামারি শুরু করে দিয়েছিলো ওদের সাথে।।।তোমাকে ওদেরই একজন শক্ত করে বাধে রেখে দিলো মাটিতে।।।তোমার ঘুমটা বেশীই হয়ে গিয়েছিলো।।তুমি তখনো ঘুমাচ্ছিলে।।।আমি তোমাকে ডাক দিতে গিয়েছিলাম তখন ঔ বুড়ো আমার হাত ধরে শক্ত করে।।।আমার সাথে জবরদস্তি করতে থাকে।।।আমি ধাক্কা দিয়ে ওকে ফেলে দৌড় দি তোমার কাছে।।ততক্ষনে জারাকেও ওরা বেধে ফেলেছে শক্ত করে।।।আর আমার দিকেই আসছিলো।আমাকেও বেধে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওরা আসছিলো আমার কাছে।।।আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।।।কি করবো না করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।।।।।আমার দিকে এগিয়ে আসছিলো লোকগুলো।।আমার দিকে হাত দিতে যাচ্ছিলো ঔ বুড়োটা।।।তখনই হঠাৎ রাগে আমার ডানা বেরিয়ে আসলো।।।ওরা আমার ডানা দুটি দেখে ভয় পেয়ে গেলো।তারপরের তা আর নাই বা বল্লাম।(নিলা)
.
--হুমমম বুঝেছি।(আমি)
.
--তোমার কি হয়েছিলো এতো গভীর ঘুমে কেনো ছিলে।(জারা)
.
--কি জানি।।।তোমরা ঠিক আছো তো।(আমি)
.
--হ্যা নিলাই আমাদের বাচিয়ে দিয়েছে।(জারা)
.
--তুমি একটা জলপরী হয়ে কিছুই করতে পারলে না?(আমি)
.
--আমি তো শুরু করেছিলামই।।।কিন্তু হঠাৎ আমার উপরে জাল ফেলে দিয়েছিলো তখন আর আমি কিছুই করতে পারি নি।।।আমাকে শক্ত করে ধরে বেধে ফেলে ওরা।(জারা)
.
--ওওও।।।এখানে তো ভালোই।।।পুরো মরুভূমির পানি মনে হচ্ছে এখানেই।।।(পাশে সুন্দর একটা লেক দেখলাম।।।সাধারনত এমন কিছু মরুভূমিতে দেখা যায় না।।।তাই অবাক না হয়ে পারলাম না)
।।।।
।।।।
আমি এগিয়ে গেলাম বাধা লোকগুলোর দিকে।।।।আমাকে দেখে আরো ভয় পেয়ে গেলো ওরা।।।আমি গিয়ে বল্লাম।
.
--রাজহুরার দিকটা কি বলবি নাকি?(আমি)
.
--আমাদের কিছুই করবেন না দয়া করে।।।আমরা বুঝতে পারি নি।।।খুব বড় ভুল করে ফেলছি।এই রাস্তা ধরে সামনে এগিয়ে গেলেই রাজহুরায় পৌছে যাবেন আপনারা।(বয়স্ক লোকটি)
.
--হুমমম ধন্যবাদ।।।আর সাতার জানেন তো আপনারা?(আমি)
.
--হ্যা কিন্তু কেনো?
.
--happy swimming night...(আমি)
।।।।
।।।।
আমি পানির বিশাল এক কনা উঠিয়ে বাধা লোকগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে ফেলে দিলাম পুকুরটাতে।।।যাক এবার রাগ কমলো একটু।।।।নিলা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো হা করে।।।জারার মুখে হাসির ছাপ দেখতে পেলাম।।।মানে জারা খুশি হয়েছে।।।
.
--চলো যাওয়া যাক এবার।(জারা)
.
--কিন্তু কিভাবে।।।গাড়িও তো চালাতে পারি না।(আমি)
.
--আমি আছি তো।।।আমাকে দুজন শক্ত করে জরিয়ে ধরো।(নিলা)
।।।।
।।।।
কি আর করার জারা এক পাশে নিলাকে জরিয়ে ধরলো।আরেকপাশে আমাকেই জরিয়ে ধরতে হলো।।।নিলা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।।।।উরাল দিলো নিলা আপন মনে।।।মাঝে মাঝে একটু ঘুর খাচ্ছে।যার কারনে আমি আরো বেশী করে জরিয়ে ধরছি নিলাকে।।।উরাল দিয়ে চলে আসলাম আমরা রাজহুরায়।।।।
।
ভেবেছিলাম এটা মনে হয় কোনো পুরোনো আমলের রাজ্য হবে।।।কিন্তু না এটা তো একটা মন্দিরের মতো।।।বেশ সুন্দর একটা মন্দির।।।নকশাটা বের করলাম।।।জোৎসনা রাতে আশে পাশের সব দেখা গেলেও নকশাটা বুঝতে আমাদের সমস্যা হচ্ছিলো তাই আমাদের অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার নেই।
।
আমি আমাদের জন্য পরিস্কার একটা জায়গা দেখলাম যেখানে আমরা তিনজন শুয়ে পরলাম।।।ঘুম সহজে আসলো না।।।কারন একটু আগেই ঘুম দিয়েছি আমি।।।নিলা আর জারা আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে।।।সবাই নাকি এই জায়গায় এসে আর ফিরে যায় না।।।কি আছে এই জায়গায় সেটা তো দেখতেই হবে আমাকে।নিলা আর জারাকে রেখে আমি একটু আশপাশ ঘুরে দেখতে লাগলাম।।।অবশ্য নিচে যাওয়ার একটা সিড়ি পেয়ে গেছি।।এখানে আসলে নাকি কেউ আর ফিরতে পারে না।।।তাহলে নিলা আর জারাকে আমি ভিতরে নিতে চাই না।।।সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে যাচ্ছি আসতে আসতে।।।একদম অন্ধকারে কুটকুট করছে।
।
কোনো একটা ভুল পা ফেললেই শেষ মনে হচ্ছে।।।তাও কেমন একটা উৎসাহ কাজ করছে মনের মধ্যে।।।কারন নিচে আমি পানি অনুভব করতে পারছি।।।তাই আগ্রহটা একটু বেশীই মনে হচ্ছে।।।হঠাৎ কিছু একটাই পা পরতেই আসতে আসতে একটা একটা করে মশাল জ্বলে উঠতে লাগলো।।।অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা।।।মশাল গুলোর নিচে তেলে ভরপুর।সেটা এমন ভাবে রাখা হয়েছে যে শুধু জ্বলবেই।।।দেখে মনে হচ্ছে তেলের ক্ষনি এটা।।।আর বুঝে গেলাম কেনো এটাকে রাজহুরা বলে।।।আমি দেখলাম নিচে একটা রুমাল পরে আছে।।।তারাতারি গিয়ে সেটা উঠালাম।
।
আমি নিচু হওয়ায় আমার হালকা উচু দিয়ে ১০ টা তীর গেলো।।।আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম।।।।জায়গাটা যেমন ভেবেছিলাম মোটেও তেমন নয়।।।এখন ভালো করে নজর দিলাম পাশেই মানুষের হাড্ডি,খুলি পরে আছে।।।মানে এখানে অনেকে শহীদ হয়েছেন বুঝতে পারলাম।।।আমারও টিকেট কেটে গিয়েছিলো হয়তো।
।
আমাকে সাবধান হতে হবে।।।।নিচের দিকে তাকালাম।।।দেখলাম যেটাই দাড়িয়ে আছি এখানে একটা অক্ষর লেখা।।।কেমন ধরনের একটা পাথর দিয়ে মেঝে করা।।।।সামনে তাকালাম দেখলাম এমন অনেক পাথর আছে যেখানে অক্ষর রয়েছে আবার যেখানে নেই।।।যেহেতু পা দিয়েছি অক্ষরের উপর আর আঘাত হলো।।।তাহলে অক্ষর ছাড়া গুলোর উপরে পা দিতে হবে আমার।।।হ্যা।।।
।
যাক এবারের মতো বেচে গেলাম।।।জায়গাটা পার করলাম।।।সামনে একটা দরজা আসলো।।।সেখানে লেখা যদি তুমি তিনবার ভুল করো দরজার লক খুলতে তাহলে চলে যাবা বালির দেশে।।।
।
মানে ডেডট্রাপ।।পাশে তিনটা রঙের বল ছিলো।।।লাল,নীল,আর সবুজ।।।এগুলোকে রাখতে হবে দরজার তিনটা গোল ফুটায়।।।আগের ট্রাব দেখে এখন শিওর হয়েছি এটাও বড় একটা ট্রাব হবে।।।তাই আমাকে সাবধান হতে হবে।।।
।
প্রথমে খুব ভয়ে লালটা দিলাম ডানের ফুটোটাতে।।।।কিন্তু সেটা বের করে ঢুকেই বের হয়ে গেলো।।।মানে ভুল হয়েছে।।।এবার দিলাম আরেক ফুটোতে।।এবার ঢুকে গেলো।।।যাক এটা হয়ে গেলো।।।এবার নীলটা দিলাম একটায়।।।কিন্তু ভুল হলো।।।যাক এবার আর ভয় থাকলো না।।।নীলটা দিলাম অপর ফুটোই আর সবুজটা দিলাম দ্বিতীয় ফুটোতে।
।
যা খুলে গেলো দরজাটা।।।এতো সহজ সহজ ট্রাব দিয়েছে রাজা হিলোরাস।।।যাক সামনে এগুলাম।।।এতোক্ষন ছবি আকা পাথরের উপর দিয়ে হাটতে ছিলাম।কিন্তু সামনে পাথর গুলোতে কিছুই নেই।।।মনে ঘটকা লাগলো।।।দেখলাম পাশে একটা পাথর রয়েছে সেটা দিলাম ফেলে যেখানে ফেলাম সেখানের পাথর ফাক হয়ে পাথরটা নিচে ফেলে দিলো আর পাথর আবার নিজের জায়গায় চলে গেলো।।।এখন তো নিলা সাথে থাকলে হয়ে যেতো আমাকে উরাল দিয়ে নিয়ে যেতে পারতো।।।ওকে না এনে তো বড় ভুলো করেছি।
।
পাশের দেয়ালে চোখ পরতেই দেখলাম উচু উচু ইট।মানে দেয়ালে খাচ কাটা।।।।আমি একটা একটা করে যেতে যেতে ট্রাব টা পার করলাম।।।সামনে পৌছালাম আবার একটা দরজা।।।এবার দরজায় কোনো ক্লুই নাই।।।ভাবলাম ধাক্কা দিলে হয়তো খুলে যাবে দরজাটা।তাই ধাক্কা দিলাম।
।
কিন্তু দরজাটা খুললো না।।।বরং দরজাটা জোরে একটা হাছি দিয়ে কথা বলতে লাগলো।
.
--কে যে আমাকে বিরক্ত করার সাহস করলো।(দরজা)
.
--আমি।(ভয়ে বল্লাম)
.
--একজন মানুষ এসেছে আমাকে বিরক্ত করতে।।।সাহস তো কম না।।।কিন্তু অবাক করার বিষয় এখানে আসার মধ্যে তুমি ৫ নাম্বার মানুষ।।।মানতে হবে অনেক সাহসী আর বুদ্ধিমান তুমি।(দরজা)
.
--ওওও এই ট্রাব গুলো তো কিছুই ছিলো না।।।এতো সহজ যে যেকেউ পার করতে পারবে।(আমি)
.
--যেকেউ পার করতে পারে বলেই তো ২৩ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে তোমাকে দিয়ে ৫ জন আমার পর্যন্ত আসতে পেরেছে।।।আবার এই ৫ জনের মধ্যে দুইজন তো আমার চোখ মুখ আর নাক দেখেই জায়গায় স্টক করে মারা গেছে।।।আর একজন তো ভয়ে বেহুস হয়ে পিছনের ট্রাবে পরে গিয়েছিলো।আর একজন ভয় পাওয়া সত্বেও এখানে দারিয়ে ছিলো।।।আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো কিভাবে ভিতরে যাবে।(দরজা)
.
--তো আপনি কি বললেন।(আমি)
.
--আমি তো বলেছি ভিতরে যাওয়ার মাধ্যম তো তোমাকেই বের করতে হবে।।।সে ভেবেও বের করতে পারে নি তাই ফিরে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু এই উপরের দেওয়াল তাকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলে।(দরজা)
.
--মানে আমি ফেরত যেতে চাইলে আমাকেও চাপা দিয়ে মারা হবে।(আমি)
.
--হ্যা।।।(দরজা)
.
--যা কিসের পাল্লায় পরলাম।।।।আচ্ছা আমি যতক্ষন বের না করি কিভাবে ভিতরে যাবো আমরা দুইজন কি গল্প করতে পারি।(আমি)
.
--হ্যা আমি তো গল্প করার জন্যই অপেক্ষা করে আছি।।।আগের জনকে কতবার বল্লাম প্লিজ যেয়ো না।কিন্তু সে চলে গেলো আর ছাদ তার উপরে পরে পিশে দিলো তাকে।(দরজা)
.
--আচ্ছা যাও আমি এখানে বসলাম।।।তোমার সাথে গল্প করবো।।।তো কি বিষয়ে গল্প করবো।(আমি)
.
--আমাকে যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারো আমি উত্তর দিয়ে দিতে পারবো।।।আমি সব জ্ঞানের আধার।(একটু গর্ব করে বললো দরজা)
।।।।।
।।।।।
একটু গর্ব দেখালো দরজা।।।যা তোর গর্ব আমি ছুটাচ্ছি।।।তুই নিজেই আমাকে ভিতরে যাওয়ার রাস্তা বলে দিবি।
।
.
--আচ্ছা যদি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারো তাহলে আমাকে এই দরজার ভিতরে যেতে দিতে হবে।(আমি)
.
--হ্যা যদি আমি তোমার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারি তাহলে এই আমি ভিতরে তোমাকে ঢুকতে দিবো যাও।(দরজা)
.
--ঠিক আছে বলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে?(আমি)
.
--ডোনাল্ড ট্রাম্প।(দরজা)
.
--আমরা কোন গৃহে আছি।(আমি)
.
--পৃথিবী।(দরজা)
.
--পৃথিবীর ব্যাসার্থ কত?(আমি)
.
--৬.৪×১০^৬ মিটার।(দরজা)
.
--তোমার চোখ কয়টা।(আমি)
.
--তিনটা।(দরজা)
.
--আমার চোখ কয়টা?(দুইটা)
.
--আমার ডান পকেটে কি?(আমি)
.
--তোমার পকেটে হলো এখানে আসার নকশা।(দরজা)
.
--লাস্ট প্রশ্ন এই দরজার ভিতরে কিভাবে যাবো?(আমি)
.
--তোমাকে তোমার হাত কেটে রক্ত আমার উপরে ফেলতে হবে।(দরজা)
.
--বাবা সব উত্তর তো তুমি পেরে গেছো।(আমি)
.
--হ্যা এই পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী দরজা আমি।।।আমার থেকে কারো জ্ঞান বেশী না।(দরজা)
.
--হ্যা সেটা তো দেখলামই।।।তবে বুদ্ধির কিছুটা অভাব আছে।।।
।।।
আমি কাছে থাকা কলমটা বের করলাম।।।সেটাই চাপ দিলাম সেটা তলোয়ার হয়ে গেলো।।।সেটা দিয়ে হাত কাটলাম।।।রক্ত মারলাম দরজার উপর।
.
--আমাকে মাফ করবেন জলপুরীর রাজা হৃদয় টিটান।।।আপনার বুদ্ধির পরীক্ষা করছিলাম মাত্র।।।এই দরজা আপনি ছাড়া কেউই খুলতে পারতো না।।আপনার জন্যই উৎসর্গ করে বানানো হয়েছে এই গোপন মহলটা।।।আপনি ভিতরে প্রস্থান করুন।(দরজা)
।।।
।।।
যাক এবার নাহয় কথা হলো।।।কোনো বিপদ ছাড়াই আমি ভিতরে ঢুকতে গেলাম।।।
.
--তবে একটা বিষয় থেকে সাবধান হবেন এই ট্রিশুল আপনার কাছেই রাখবেন।।।যদি এটা আপনার হাত থেকে চলে যায় তাহলে অনেক বড় বিপদ হবে যেটার ব্যাপারে হারকিউমাস শুধু হুশিয়ার করে দিয়েছে।।।কিন্তু কি হবে সেটা বলে দেই নি।(দরজা)
.
--তুমি চিন্তা করবে না।।।কোনো কিছুই হবে না।।।(আমি)
.
--হুমমম আশা করি খুব শীঘ্রই আবার রাজা হারকিউমাসের সমতুল্য কাউকে দেখতে পারবো।(দরজা)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।