*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ০৩
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।।।।
।।।।।।।।
।।।।।।।
আমার সামনে একটা আকাশ পরি ছিলো।আমার সবই স্বপ্ন মনে হচ্ছিলো।।।কিন্তু আমি তো স্বপ্ন দেখছি না।।।শুনেছিলাম পরীরা নাকি মানুষদের মেরে ফেলে।।তাই খুব ভয় হচ্ছে পরীটাকে দেখে।আমি ঘামতে শুরু করলাম পরীটাকে দেখে।আমার অস্তিরতা দেখে পরীটা বলতে শুরু করলো।
.
--আমাকে দেখে তোমার কোনো ভয় নেই।আমি তোমার কোনো ক্ষতিই করবো না।।(পরী)
.
--তাহললে আমমারর কাছছে আসসছেনন কেননো।(তোতলিয়ে বল্লাম)
.
--আমাকে দেখে কোনো ভয়ের কারন নাই তোমার।।।আমি তোমার কাছে আসছি বন্ধুত্ব করতে।(পরী)
.
--আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে?(আমি)
.
--হ্যা তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে।তুমি এই মাটির মানুষের মধ্যে সব থেকে আলাদা ছেলে।তাই তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে আসছি।(পরী)
.
--আমি আলাদা মানে?(আমি)
.
--আগে বলো বন্ধুত্ব করবে কিনা আমার সাথে?(পরীটা)
.
--আমাকে না মারলে আমি রাজি আছি।(একটু ভয়ে বল্লাম)
.
--তোমাকে মারবো কেনো আমি বলো তো।তোমাকে মারলে আমার কি হবে?(পরী)
.
--মানে?(আমি)
.
--আচ্ছা বাদ দাও।আমার নাম মোহনা জিং।আমি পরীর দেশের রাজকন্যা।।।।(পরী)
.
--আমি?
.
--বলতে হবে না।।।তুমি হৃদয়।(পরী)
.
--আমার নাম কিভাবে জানলেন?(আমি)
.
--আমি সবার চোখ পড়তে পারি।।।চোখ পড়ে সবার নাম ঠিকানা,কি ভাবছে সব বুঝে যায়।(পরী)
.
--আমাকেও কি শিখাবেন কিভাবে চোখ পড়তে হয়।(আমি)
.
--উহু।।।।সেটা কাউকেই শিখানো যায় না।।।শুধু পরীরাই পারে এই কাজটা।(পরী)
.
--ও।।আপনার পাখা গুলো এতো বড় কেনো?(আমি)
.
--কোথায় আমার পাখা?(পরীটা)
.
--এই মাত্র তো দেখলাম আপনার পাখাটা কিন্তু এখন তো দেখছি না।(আমি)
.
--হিহিহিহিহি।শুধু পাখা দেখছে তোমার সামনে এতো সুন্দর একটা মেয়ে দারিয়ে আছে তাকে দেখছো না।(পরী)
.
--আমার ভয় লাগছে আপনাকে দেখে।(আমি)
.
--ভয়????হিহিহি।দারাও এখনি তোমার ভয় ছুটাচ্ছি আমি।।।(পরী)
।।।
।।।
।।।
পরীটা আমাকে নিয়ে উরাল দিলো আকাশে।
।
.
--কি করছেন এটা আমাকে ছেড়ে দিন।।।আমি তো পরে যাবো।পাগল হয়ে গেছেন নাকি।(আমি)
.
--ভয় পাচ্ছো।।।।দেখো ভয় এটাকে বলে।(আমি)
.
--আমার চোখ পরে যদি আপনার সব বুঝে যাওয়ার কথা থাকে,তাহলে এইটাও বুঝার কথা ছিলো আমি উচুতে সেন্সলেস হয়ে যায়।(আমার মাথা ঘুরতে ছিলো আমি ধীরে ধীরে বল্লাম)
.
--হুমমম কিন্তু এখন আর হবা না।(পরী)
।।।।
।।।।
পরীটা নিজের চোখ বুজে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।।।কিসব যেনো মুখে মুখে পরতে থাকলো আমার ও চোখ বুঝে আসছিলো।হঠাৎই অনুভব করলাম আমার ঠোটে গরম কিছু।আরেকজোড়া ঠোট আমি অনুভব করলাম।।কিন্তু কেনো জানি মনের মাঝে আগের মতো ফিল হলো না।।।কিন্তু আমি আকৃষ্ট হয়ে গেলাম।।একটা মায়া আমাকে টানছে।আমি ছিরতে পারছি না মায়াটাকে।আমি আরো জোড়ে জরিয়ে ধরলাম পরীটাকে।পরীটাও আমাকে আরো জোড়ে জরিয়ে ধরলো।।পুরো আকাশ উড়িয়ে নিয়ে আসলো।কিন্তু তা কে দেখেছে।আমি যে সুন্দরী পরীর উপর আকৃষ্ট ছিলাম।।আমাকে আবার আমার রুমের বারান্দায় নামিয়ে দিলো পরীটা।
.
--দেখেছো কিছুই হয় নাই তোমার।আমি থাকতে কিছুই হতে দিবো না তোমার।(পরী)
.
--কিন্তু আপনি আমাকে চুমু দিলেন কেনো?(একটু লজ্জা পেয়ে)
.
--সত্য বলতে তোমার উপর যাদু করে তোমাকে আমি পেতে পারতাম।কিন্তু সেটা আমি চাই না।আমি তোমাকে ভালোবাসি আমার ভালোবাসা দিয়েই তোমাকে পেতে চাই।(পরী)
.
--আমাকে ভালোবাসেন।(আমি)
।।।।
।।।।
পরীটা অদৃশ্য হয়ে গেলো।।আর দেখতেই পেলাম না আমি।।এসব স্বপ্নের মতো করে কি হয়ে গেলো আমার সাথে।।।দুররর।
.
--হৃদু,এই হৃদু।(হৃদি)
.
--হুমমম।ও হৃদি বল।(আমি)
.
--বাইরে একা কি করোস ভাই।।তোকে না বলেছি বাইরে বের হলে আমাকে ডাক দিবি।(হৃদি)
.
--কিছু না ঘুম আসছিলো না তাই একটু হাওয়া খেতে আসলাম।।।দেখ ভাই তুই আমার থেকে কোথাও একা যাবি না বুঝলি।(হৃদি)
.
--তোর থেকে একা কোথাও যাবো না।(আমি)
।।।।
।।।।
এসে শুইয়ে পরলাম।হৃদিকে পরীর কথা বল্লাম বা কিছু।এমনিতেই ওরা কি নিয়ে চিন্তা করছে বুঝতে পারছি না।তাই পরীটার কথা আপাতোতো গোপনই রাখলাম।কি যে হচ্ছে আমার সাথে আমি বুঝতেই পারছি না।।।পরী আমার প্রেমে পরেছে।একটা আকাশ পরী আমার প্রেমে পরেছে।কিন্তু আমার মন তো আরেক জায়গায়।আমি কেনো জানি আকাশ পরীর উপরেই বেশী আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছি।তার রূপের কথাই ভাবতে লাগলাম।।।।সারারাত আর ঘুম আসলো না আমার।আমার সব ঘুম কেড়ে নিয়েছে পরীটা।।।শুধু ওকেই দেখতে মন চাচ্ছে।পরীর অনেক কাহিনী আমি শুনেছি।পরীরা মানুষদের পছন্দ করলে তাদের সাথেই বিয়ে করে থেকে যায়।।।।আমার নাকি বিয়ে হবে না।।।আমি ও দেখিয়ে দিবো একটা পরী বিয়ে করে।হিহিহিহিহি
।
সকালে উঠলাম।
.
--বাবা আজ তো দেখি আমার আগেই উঠে গেলি।(হৃদি)
.
--হুমম।।আমি কি তোর মতো অলস।(আমি)
.
--কি আমি অলস।।।দাড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি।(হৃদি)
.।।।।
।।।।।
আমাকে হৃদি ধরার জন্য দৌরাচ্ছে আমি ও দৌরাচ্ছি।
.
--তোরা এখন বড় হয়ে গেছোস।এসব বাচ্চামি শেষ করবি কবে?(মামা)
.
--কোনোদিন ও না।(হৃদি)
.
--ঔ হৃদি চল না আমরা পুকুর থেকে গোসল করে আসি।(আমি)
.
--না না আমরা আজকেও নদীতে যাবো গোসল করতে।(হৃদি)
.
--এই খবরদার তোরা ঔ নদীতে যাবি না আজকে গোসল করতে।আজকে বাসায় গোসল কর নাহলে পাশের পুকুরে যা।নাস্তা করে যা।আমরা একটু পরেই বের হবো।(বাবা)
.
--আচ্ছা বাবা।(হৃদি)
।।।।
।।।।
আমি আর হৃদি চলে আসলাম পুকুর পাড়ে।।।এটা আমাদের নানা বাসার সাথেই।সবাই এখানেই গোসল করে।আমরাও নানা বাসায় আসলে এখানেই করি কারন এখানে পানি অনেক কম।আর সিড়ি বেধে দেওয়া আছে তাই পানিতে ঢুবার ও কোনো সুযোগ নাই।হৃদি অনেকক্ষন পানিতে দম বন্ধ করে থাকতে পারে।ওর সাথে কোনো দিন ও আমি পারি নি।
.
--চল দেখি কে বেশী দম বন্ধ করে পানির নিচে থাকতে পারে।(হৃদি)
.
--এই না না আমি ঢুপ দিবো না।(সেদিনের ভয় আবার পেলাম)
.
--পারবি না তাই বল।(হৃদি)
.
--বল্লেই হলো আমি তোর থেকে বেশীক্ষন পারবো।(আমি)
.
--তাহলে আয় দেখি।(হৃদি)
.
--হুমম আয়।(আমি)
.।।।।
।।।।
দিলাম ঢুপ।।।হৃদিও ঢুপ দিলো।পানির নিচে আমার আগের থেকে অনেক ভালো লাগছে।সব ক্লান্ত দূর হয়ে গেলো।আরো অবাক করার বিষয় হচ্ছে আমি পানির নিচে দম নিতে পারছি।আমি দম নিচ্ছি কিন্তু আমার মুখে কোনো পানি যাচ্ছে না।সবই আশ্চর্য করছে আমাকে।হয়তো এটাও আকাশ পরীর যাদুর জন্য হচ্ছে।যাইহোক আমি তো মজা পাচ্ছি।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।