*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ১৫
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।
।।।
।।।
প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সাথে সাথে এই লকটাও খুলে গেলো।।ভিতর থেকে একটা কাগজ বের করলাম।।একটা এলাকার নকশা মনে হচ্ছে।কিন্তু এটা কোথায় কিছুই মাথায় ডুকছে না।
.
--আনিল নকশাটা কোথাকার হতে পারে?(আমি)
.
--আমার তো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা পানির নিচে কোথাও।(আনিল)
.
--আপনাদের মাথায় কি এইটুকু বুদ্ধিও নাই।।।।দেখছেন না এইখানে উটের ছবি আকা।।।।মানে এটা হয়তো কোনো মরুভূমি।(নিলা)
.
--হুমমম হয়তো।কিন্তু এটা কোথায় হতে পারে।(আমি)
.
--সেটাই তো আমাদের বের করতে হবে।।।।(নিলা)
.
--কিন্তু কিভাবে বের করবো আমরা এটা কোথায়।(আনিল)
.
--জায়গাটা আমার খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে।(আমি)
.
--কোথায় মনে করেন।(নিলা)
.
--কোথায় যেনো ঠিক এমন একটাই ম্যাপ আমি দেখেছি।।।।কিন্তু মনে পরছে না।(আমি)
.
--মনে করার চেষ্টা করেন হুজুর।(আনিল)
.
--আচ্ছা নিলা আমাকে কি একটা মোবাইল ফোন এনে দিতে পারবেন যেটাই ইন্টারনেটে access করা।(আমি)
.
--হ্যা দেখি এই লাইব্রেরীর কারো কাছ থেকে পাই কিনা।(নিলা)
।।।।
।।।।
নিলা আমাকে একটা মোবাইল ফোন এনে দিলো।।।আমি একটু খুজতে থাকলাম।।।হ্যা পেয়ে গেছি।।।এর আগে আমি জলপরীর উপরে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম Wikipedia তে।।।।সেখানেই এমন একটা মরুভূমির ম্যাপ দেওয়া ছিলো।।।।হুমমম জায়গাটা তো ভারতের রাজস্থান।।সেটা তো এখান থেকে অনেক দূর।
.
--কিছু কি পেলেন।(নিলা)
.
--হুমমম পেয়েছি।(আমি)
.
--কোথায় জায়গাটা।(আনিল)
.
--ভারত।(আমি)
.
--এতো দূর।।।আমরা তারাতারি এই সুইজারল্যান্ড থেকে ঔখানে যাবো কিভাবে?(আনিল)
.
--আসলে আমরা এখন আর সুইজারল্যান্ডে নেই (নিলা)
.
--মানে?(আমি)
.
--এটা লন্ডনের বুক লাইব্রেরী।(নিলা)
.
--মানে দানব আমাদের লন্ডনে পাঠিয়ে দিয়েছে।(আমি)
.
--হ্যা।(নিলা)
.
--সবচেয়ে তারাতারি ভারত যাওয়ার রাস্তা হবে প্লেনে।(নিলা)
.
--সেটাই নয়।।।তারচেয়ে সহজ রাস্তা দিয়ে আমরা যাবো।(আনিল আমার দিকে তাকিয়ে)
.
--তারচেয়ে সহজ তো দেখি না।(নিলা)
.
--আছে আছে আগে আমরা বের হই।।।তারপর না হয় দেখানো যাবে।(আমি)
।।।।
।।।।
তিনজনে নকশাটা নিয়ে বের হলাম বাইরে।
.
--এই underworld এর সেনারা কি আমাদের পিছু ছারবে না।।।এখানেও চলে আসছে।(লাইব্রেরির বাইরে দারিয়ে ছিলো ১০ জনের মতো আর আনিল বললো)
.
--আমাদের তো ভয়ের কিছু নেই।।।চলুন ঝাপিয়ে পরি।(আমি)
.
--দেখুন এটা ঝাপিয়ে পরার সময় না।।।আপনি এখন ওদের ১০ জনকে মারবেন।।।পরে দেখবেন ওরা ২০ জন চলে আসছে।(নিলা)
.
--হ্যা হুজুর উনি ঠিকই বলেছেন।আমাদের এখান থেকে পালাতে হবে।(আনিল)
.
--ওকে চলুন।(আমি)
।।।।
।।।।
ভিতরে ঢুকে লাইব্রেরীর পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়।।দৌড়ে একটা গাড়ি নিলাম।।।তারপর সেখান থেকে সোজা সমুদ্রের পাড়ে আসতে লাগলাম।
.
--আমার তো মনে হয় না এই নকশার জন্য শুধু তারা আমাদের পিছনে পরেছে।।।ব্যাপার হয়তো অন্য কিছু হবে।(আমি)
.
--আমার ও সেটাই মনে হচ্ছে।।।এই নকশার ব্যাপারে তারা হয়তো কিছুই জানে না।।।।সব নকশা গুলো বিক্রী হওয়ার পর ঔখানেই থাকে।।।।সেখান থেকে অনেক নকশা চুরী হয়ে শুধু যে এটার জন্য তারা আমাদের পিছনে পরবে এমন তো না।(আনিল)
.
--আর তারা আমাদের পিছনে আসছে।।।তারা বুঝতেছে কিভাবে আমরা কখন কোথায় আছি।(আমি)
.
--আমার তো এই মায়াপরীর উপর প্রথম থেকেই সন্দেহ হচ্ছিলো।।।হয়তো ঔ আমাদের অবস্থান ওদেরকে বলে দিচ্ছে।(আনিল)
.
--দেখুন আমি এমন কিছুই করি নাই।।।।যদি করতামই তাহলে আপনাদেরকে আমি কেনো বাচাচ্ছি বলুন।(নিলা)
.
--দেখুন আপনি হয়তো অনেকটা রহস্য আমাদের থেকে লুকাচ্ছেন।।।।আপনি বিনা ভয়ে আমাদের বলে দিতে পারেন।(আমি)
.
--দেখুন আমি কোনো কিছুই লুকাচ্ছি না।।।(নিলা)
।।।।
।।।।
আমরা পৌছে গেলাম একটা ব্রিজের উপর।।।পাশেই সমুদ্রের পানি।।।
.
--দেখুন ভালোই ভালোই বলছি বলে দেন।।।নাহলে কিন্তু আমরা অন্য কোনো উপায় ব্যবহার করবো।(আনিল)
.
--দেখুন আমি সত্যি বলছি।।।(নিলা)
.
--ওকে আমরা সত্যি বলবো।(আমি নিলাকে থাক্কা দিলাম।।।সে পানির মধ্যে পরে গেলো।।।অনেকটা ভয় পেয়েছে।।।।নকশাটা একটা ব্যাগে রেখে আমি আর আনিলও লাফ দিলাম)
.
--আমাকে বাচান প্লিজ আমি সাতার কাটতে পারি না।(নিলা হাবুডুবু খাচ্ছে)
.
--আনিল।(আমি)
.
--হুমমম হুজুর।।।।(আনিল একটা শিষ দিলো।।।তিনটা ডলফিন চলে আসলো)
।।।।
।।।।
তিনটা ডলফিন আমাদের তিনজনকে তাদের পিঠে নিয়ে নিলো।নিলাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে ও অনেক ভয় পায় এই পানি দেখে।।।
.
--হুমমম এখন সেই অবস্থা এখন বলতে থাকো নাহলে আনিল এই ডলফিনকে নিচে যেতে বলবে।।।আর নিচে গেলে কি হবে সেটা ভালো করেই জানেন হয়তো।(আমি)
.
--এটা করবেন না।।।আমি বলছি।(নিলা)
.
--হুমমম শুরু করেন।(আমি)
.
--ওরা সবাই আমার জন্য আসছে।।।শুধু ওরা না।।।আমাকে না পেলে আরো অনেক আসবে।(নিলা)
.
--কেনো কি করেছেন আপনি।(আনিল)
.
--আমি নিচের দুনিয়ার রাজকন্যা নিলানিথি।।।(নিলা)
.
--কি???(আমি)
.
--হ্যা।।।আমার বাবা আমার বিয়ে জোর করে দিচ্ছেছিলেন।।।আমি তো এখন বিয়ে করতে চাই নি।।।তাও আমার নাকি বয়স হয়েছে।।।আমাকে নাকি বিয়ে করতেই হবে।।।।আর বিয়েটাও আমার মন মতো করতে পারবো না।।।।তাই তো আপনাদের সাথে পালিয়ে এসেছি আমি।(নিলা)
.
--কি।।।।আপনি আমাদের সাথে পালিয়ে এসেছেন।(আনিল)
.
--হ্যা।।(নিলা)
.
--আপনি কিন্তু কাজটা ঠিক করেন নি।।।।(আমি)
.
--আপনি কি বুঝবেন।।।ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি কেউ জোর করে আর সেটা মানতে হয় সেটা যে কত কষ্টকর হয়।(নিলা)
.
--সেটা আমাকে বুঝাতে হবে না।(আমি)
.
--হুজুর আমরা আর উনাকে সাথে নিয়ে আমাদের বিপদ বারাতে পারবো না।।।উনাকে উনার মতো ছেড়ে দিন।(আনিল)
.
--প্লিজ এটা করবেন না।।।আমাকে ওদের হাতে তুলে দিবেন না প্লিজ।(নিলা)
.
--আনিল ওনাকে কি সাথে নেওয়া যায় না।(আমি)
.
--হুজুর আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন।সে হলো একজন রাজকুমারী।।।তাকে সাথে করে নিয়ে গেলে আমাদের কে তাকে অপহরন করার দোষে ফাষি দেওয়া হবে।(আনিল)
.
--আনিল এতোদূর যেহেতু এসেছি।।।একবার আমাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারলে আর কোনো ভয় থাকবে না আমাদের।(আমি)
.
--সেটা তো জানি।।।কিন্তু এতে তো তাদের সাথে যুদ্ধ করার সমান হয়ে যাবে।(আনিল)
.
--দেখুন আমাকে আপনাদের সাথে না নিয়ে গেলে আমি বাবার কাছে গিয়ে বলবো আপনারা আমাকে অপহরন করে নিয়ে গেছেন তখন দেখবো কিভাবে গুপ্তধন পান আপনারা।(নিলা রাগ করে বললো)
.
--দেখুন ঠিক আছে আপনাকে আমরা নিয়ে যাবো।।।কিন্তু দেখছেন তো আপনার জন্য তারা আমাদেরকে খুজে বের করছে।(আনিল)
.
--সেটা তো আমিও দেখছি।।।কিন্তু প্লিজ আপনারা আমাকে এভাবে ওদের হাতে তুলে দিবেন না।।।(নিলা)
.
--হুমমম ঠিক আছে চলুন আমাদের সাথে।(আমি)
.
--এভাবেই কি যাবো এই ডলফিনের উপরে বসে?(নিলা)
.
--কখনো তো বসেন নি তাই না।(আমি)
.
--হুমমম খুব ভয় লাগছে যদি পরে যায়।(নিলা)
.
--তাহলে এক কাজ করেন আপনি আমার পিছনে বসুন।।।আমাকে জরিয়ে ধরবেন শক্ত করে দেখবেন পরবেন না।(আমি)
.
--হুমমম।(নিলা আমার পিছে বসে আমাকে জরিয়ে ধরলে।।।যেহেতু ডলফিনটা অনেক বড় তাই বসতে সমস্যা হলো না)
.
--তাহলে চলুন যাওয়া যাক।।।(আনিল)
.
--হুমমম চলুন।(আমি)
।।।।
।।।।
ডলফিন তার পুরো শক্তিতে চলতে থাকলো।।।পানির উপরে দিয়ে একবার আবার পানির নিচে যাচ্ছে।।।উপরেই বেশীক্ষন থাকছে তাই নিলার বেশী সমস্যা হচ্ছে না।।।কিন্তু ও আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে রেখেছে।।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।