*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ০৬
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।।
।।।।।
।।।।।
.
--বা নামটা তো দেখি খুব সুন্দর।।।আমাকে কি এই নামেই ডাকবা।(জারা)
.
--নাম যখন দিলাম তখন এই নামেই ডাকবো।(আমি)
.
--খুব ভালো।।।জানো কত বছর পর তোমাকে আমার কাছে পেলাম।।।এত গুলে বছর শুধু তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।।।তোমাকে শুধু দূর থেকে দেখতেই মন চাইতো না।।।তাই তো দুইবার তোমার কাছে গিয়েছিলাম।।।একদম কাছে গিয়েছিলাম।(জারা)
.
--তুমি কি আমার উপরে মায়া করেছো।।।আমি তোমার উপরে এতো পাগল হয়ে যাচ্ছি কেনো?(আমি)
.
--জলপরীরা মায়া করতে পারে না।।।মায়া তো আকাশ পরীরা করতে পারে।।।যেটা তোমার সাথে ঔ খারাপ পরীটা করেছিলো।।।কিন্তু এখন আর তোমার কাছে ও আসতেই পারবে না।(জারা)
.
--তাহলে জলপরীরা কি করতে পারে?(আমি)
.
--দেখবা আমরা কি করতে পারি?(জারা)
.
--হুমমম দেখবো তো।(আমি)
.
--তাহলে দেখো।(জারা)
।।।।
।।।।
জারা নিজের হাতটা নরাতে লাগলো।।।কিছুই বুঝছি না কি করছে।।।পুরো পাগল ডান্স শুরু করলো হাত দিয়ে।।।কিন্তু সামনেই দেখতে পারলাম পানি উপরে উঠে গেছে।।।একদম আমার সামনে চলে আসছে।।।
.
--wow...তুমি তো দেখছি পানিকে কন্ট্রোল করতে পারো।।(আমি)
.
--এটা শুধু আমি না।।।সব জলপরীরাই পারে।(জারা)
.
--ওওও।(আমি)
.
--এটা তুমি ও করতে পারবা।।।একবার তোমার অভিষেকটা হয়ে যাক।(জারা)
.
--আর কি কি করতে পারো তুমি?(আমি)
.
--দারাও দেখাচ্ছি।(জারা)
.
--হুমমম।(আমি)
।।।।
।।।।
জারা মুখ দুয়ে শিস দিতে লাগলো।।।হঠাৎই দেখলাম অনেক গুলো ডলফিন চলে আসলো আনাদের সামনে।
.
--এগুলো কি সত্যি ডলফিন।(আমি)
.
--কেনো বিশ্বাস হচ্ছে না।(জারা)
.
--না প্রথম বার ডলফিন দেখলাম সামনে থেকে।।।তাই বিশ্বাস হচ্ছে না।।।(আমি)
.
--আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো দেখলে তুমি অবাক হবে।।।তোমাকে সবই দেখাবো।।(জারা)
.
--তুমি যেমন অনেক কিছু করতে পারো।আমিও অনেক কিছু করতে পারি।(আমি)
.
--হুমমম জানি তো।।খুব সুন্দর ছবি আকতে পারো।।।আর এসব তো তুমিও পারবে একদিন।(জারা)
.
--এসব না।।।আরো নতুন নতুন জিনিস করতে পারি যেগুলো তুমি ভাবতেও পারবে না।(আমি)
.
--কি দেখি তো।(জারা)
.
--এগুলো দেখা যায় না।।।অনুভব করতে হয় পাগলী।।।(আমি)
.
--কিন্তু কি বলো না।।।(জারা)
.
--ওকে চোখ বন্ধ করো।(আমি)
.
--কেনো?(জারা)
.
--চোখ খুললে আমি পাওয়ার ইউজ করতে পারবো না।(আমি)
.
--ও তাই বুঝি।যাও চোখ বন্ধ করলাম।।।দেখি তোমার কি ক্ষমতা।(জারা)
.
--হুমমম।।।(আমি)
।।।
।।।
।।।
জারা ওর চোখ দুটো বন্ধ করলো।।।আমার সব ভয় কেটে গেছে।।।কারন এই জলপরীটাই তো আমার মনের মধ্যে ছিলো যাকে আমি দেখার চেষ্টা করেছি সব সময়।।।আজ সে আমার সামনে।।আমার কি আর ভয় থাকে।আমি আমার ঠোট দিয়ে ঠোট মিলিয়ে দিলাম।।।চারিপাশ মুগ্ধ হয়ে গেলো।।।আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো।।।জারা আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
.
--কি দেখেছো আমার পাওয়ার।।।।(আমি)
.
--এইটা তো সবাই করতে পারে।(জারা)
.
--হুমমম বাট তোমাকে তো সবাই চুমু দিতে পারবে না।(আমি)
.
--হুমমম হবু জামাই বলেই পারছো।নাহলে সাহস ও হতো না।(জারা)
.
--হবু জামাই?(আমি)
.
--হ্যা।।।তোমার অভিষেকের দিনেই আমাদের বিয়ে হবে।।।আমরা দুজন তখন এক হয়ে যাবো।।।তুমি হবে এই পুরো জলপুরীর রাজা।।।আর আমি হবো তোমার রানী।(জারা)
.
--কিন্তু এতো তারাতারি কেনো।।।আমার তো এখনো পড়ালেখাই শেষ হয়নি।।।আমি কি করে তোমাকে এতো তারাতারি বিয়ে করি।(আমি)
.
--তুমি ১৫ দিন পর এই পুরো জলপুরীর রাজা হবে।।।একজন রাজার কি আর পড়তে হয়।।।এখন তোমাকে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে।(জারা)
.
--সবই তো বুঝলাম।।।তাও তো আমি বিয়ে করবো বাবা আর আম্মুকে না জানিয়ে।।।আর হৃদিকে না জানিয়ে তো আমি বিয়ে করতেই পারবো না।(আমি)
.
--এটা তাদেরই সিদ্ধান্ত ছিলো।।।এতোদিন তুমি তাদের ছিলে না।।।তোমার মাঝে তাদের কোনো জিনিসই অবশিষ্ট নেই।।।তোমার মাঝে যা আছে সবই আমার বাবার দেওয়া।।।(জারা)
.
--ঠিক আছে তাও।।।আমি মানতে পারছি না।।।আমি কি করে ওদেরকে না জানিয়ে এখানে আসলাম।।।আর তো মনে হয় যেতে পারবো না।(আমি)
.
--কে বললো যেতে পারবা না।।।তুমি যখন প্রস্তুত হবে তখন তুমি যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারবে।(জারা)
.
--কিন্তু আমি ওদেরকে বলে আসতে চাই।আমি ওদেরকে না বলে আসলে তো ওরা চিন্তা করবে।(আমি)
.
--আমিও ব্যাপার টা বুঝছি।ৃ্কিন্তু কি করার।।।এখন আম্মার আদেশ ছাড়া কিছুই বলতে পারবো না আমি এ ব্যাপারে।।।আর আমিও তোমাকে যেতে দিবো না আমাকে রেখে।(জারা)
.
--আরে আমি গেলে তো তোমাকেও নিয়ে যাবো।।।তুমি সব সময় আমার সাথেই থাকবে।।।তোমাকে আমি আমাদের সুন্দর পরিবেশ দেখাবো।।।(আমি)
.
--আমার ও না ওখানে যাওয়ার অনেক ইচ্ছা।।।কিন্তু আম্মা তো যেতে দিবে না এখন।।।আমাদের বিয়েটা একবার হয়ে যাক।।।তুমি সব শক্তি হাসিল করে নাও তারপর আমরা নির্ভয়ে হানিমুন করতে যাবো মাটির দুনিয়ায়।(আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বললো)
.
--তুমি বুঝতে চাচ্ছো না।।।ঠিক আছে তোমাদের রানীর সাথে মানে তোমার আম্মার সাথে আমি কথা বলবো।।।।(আমি)
.
--আম্মা তোমাকে যেতে দিবে না।।।একবার তোমাকে ঔ আকাশপরী নিয়ে যেতে চেয়েছে।।।তুমি যদি ঔ আকাশ পরীর সাথে চলে যাও তাহলে তোমাকে কোনো ভাবেই আমরা নিয়ে আসতে পারবো না।।।(জারা)
.
--কেনো তোমরাও পরী ওরাও পরী।।।তাহলে তারা তোমাদের দুনিয়ায় আসতে পারে না।তোমরা তাদের ঔখানে যেতে পারবে না কেনো?(আমি)
.
--শুধু মহাজাগতিক রাজারাই জলপুরী এবং আকাশপুরী দুই জায়গায় যেতে পারে।।।(জারা)
.
--মহাজাগতিক রাজা মানে।।।তোমার কাছে থেকে তো সব উদ্ভট কথা শুনতেছি।(আমি)
.
--আরে তুমি তো আমাদের জলপুরীর কাহিনী জানোই না।।।চুপ চাপ বসে থাকো আমি বলছি তুমি শুনো।(জারা)
.
--হুমমম শুনবো।।।আমি তোমার কোলে শুচ্ছি।তুমি বলো।(আমি জারার কোলে শুয়ে পরলাম।জারা আমার মাথায় হাত দিতে লাগলো)
.
--এখন সব কাহিনী বলার সময় নাই।তোমাকে মহাজাগতিক রাজার কথা বলতেছি।।।আমাদের জলপুরীর প্রথম রাজা ছিলেন যিনি তার নাম ছিলো হারকিউমাস।।।তাকে বলা হয়ে থাকে মহাজাগতিক রাজা।।তার কাছে ছিলো একটা বড় ট্রিশুল।যেটাকে বলা হয় সাগরের জীবন।।।ঔ ট্রিশুল যার কাছে থাকবো সে এই দুনিয়ার সব থেকে শক্তিশালী ব্যক্তি হবে।।।ঔ ট্রিশুল যার কাছে থাকবে সেই আকাশপুরী আর জলপুরী দুই জায়গায় সে যেতে পারবে।।।আকাশপুরী,জলপুরী আর মানবপুরী এই দুই জায়গার সমস্ত শক্তি দিয়ে তৈরী ঔ ট্রিশুল।।।যার মধ্যে ধংসের শক্তি রয়েছে।।।ঔটা যদি কোনো রাজার কাছে থাকে তাহলে সেই হবে মহাজাগতিক রাজা।(জারা)
.
--এগুলো তো সব কাল্পনিক কাহিনী।।।এমন কাহিনী তো আমি শুনেছি।।।এবং একটা ছবিও দেখেছি এইসব নিয়ে।(আমি)
.
--তোমরা তো এটাও ভেবেছিলে জলপরী কাল্পনিক।।।আর কিছুদিন পর এই জল মানব ও জলপরীদের রাজাই হবে তুমি।আবার একটা জলপরীর সাথেই তোমার বিয়ে হবে।।সবই তো কাল্পনিক ছিলো।।।কিন্তু তোমার কাছে সব বাস্তব আজকে।।।তেমনই আরো অনেক জিনিস আছে যেগুলো তোমাদের কাছে কাল্পনিক হলেও আমাদের কাছে বাস্তব।।।বাস্তব জিনিসই ধারনাই তোমাদের কাছে কাল্পনিক হয়েছে।কারন কেউ তেমন প্রমান দিতে পারি নাই এখনো।।।কিন্তু প্রমান সব তোমার কাছে।(জারা)
.
--সত্যি আমার এসব কিছু বিশ্বাস হচ্ছে না।(আমি)
.
--তাহলে কি সব স্বপ্ন মনে হচ্ছে।(জারা)
.
--হুমমম সবই স্বপ্ন।
.
--তবে কি এই স্বপ্ন ভেঙে বাস্তবে যেতে চাও।(জারা)
.
--হুমমম।তবে তোমাকে পাশে চাই বাস্তবে।(আমি)
.
--আমাকেই পাবে তুমি পাশে।।।আর বাস্তব তোমার এটাই।(জারা)
.
--রাজকুমারী আমাদের নব রাজাকে আর আপনাকে আপনার আম্মা ডেকেছেন।।(এক জল মানব)
.
--হুমম চলুন।(জারা)
.
--এতো তারাতারি চলে যাবো।।।সূর্যাস্ত টাও দেখে যেতে পারলাম না।(আমি)
.
--তোমাদের ঔখানে যেমন সন্ধার আগেই তোমাদের বাসায় ফিরে যেতে হয় আমাদের এইখানেও একই জিনিস।।।নাহলে শাস্তি পেতে হয়।(জারা)
.
--শাস্তি।।।আমি তো রাজা হবো।।তাহলে আমাকেও শাস্তি দেওয়া হবে।।(আমি)
.
--রাজা তুমি হবে।।বাট হও নি এখনো।।।এখনো আমাদের এইখানের রানী আমার আম্মা সো তোমাকে শাস্তি দিতে দ্বিধা বোধ করবেন না তিনি।(জারা)
.
--(ওওও)
।।।।
।।।।
পানিতে নামলাম।।।আমার হাতটা ধরলো জারা।।।এবার ওর মাছের মতো লেজ হয়ে গেলো।।।আমাকে টান দিয়ে পানির মধ্যে নিয়ে গেলো।।।আমি দম বন্ধ করে জারার হাত ধরে রাখলাম।।।আমাকে নিয়ে যাচ্ছে জারা।একটু অদ্ভুদ তো লাগবেই।মাছের মতো লেজ ওয়ালা কেউ যদি সামনে থাকে একটু ভাবলেই তো অবাক লাগে কেমন লাগতে পারে।।
।
গিয়ে দারালাম জারা আম্মুর সামনে।।।সে রাজ দরবারে বসে ছিলেন।।আমার পাশে মাথা নিচু করে দারিয়ে রইলো জারা।
.
--রাজকুমারী জিয়াইনিয়া।।কি শুনছি তুমি নাকি আমাদের হবু রাজার প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে তাকে নিয়ে গেছো।(রানী)
.
--রানী আম্মা আসলে আমার আর তার থেকে দূরে থাকা সহ্য হয় নাই।কতদিন এভাবে তার থেকে দূরে থাকবো।তাই তাকে নিয়ে একটু গল্প করেছিলাম।(জারা)
.
--সেটা নিতে পারে।।সেটার ও সময় আছে।।।তার প্রশিক্ষন এর সময় তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে রাজকুমারী।(রানী)
.
--কিন্তু রানী আম্মা।(জারা)
.
--কোনো কথা নয়।।।কালকে সারাদিন তুমি রাজ প্রসাদেই থাকবে।কোথাও বের হতে পারবে না।(রানী)
.
--ঠিক আছে রানী আম্মা।(জারা)
.
--হুমমম।।।সেনাপতি আপনি নব রাজাকে নিয়ে তার রাজ রুমে রেখে আসেন।।।(রানী)
.
--রানী আম্মা আমি নিয়ে যাচ্ছি ওনাকে।(জারা)
.
--তোমার শাস্তি তুমি কালকের পর থেকে দেখা করতে পারবে নব রাজার সাথে।।।এখন সোজা তোমার রুমে যাও।সেনাপতি।(রানী)
.
--জো আজ্ঞা রানী আম্মা।।।।চলুন।(সেনাপতি আমাকে নিয়ে চলে আসলো।।।আমি তো সাতারই কাটতে পারছি না তাই হাত ধরেই নিয়ে যাচ্ছে)
।।।।
।।।।
তখন খেয়াল করি নাই।কিন্তু wow কত সুন্দর রাজ মহল টা।।।সব জায়গায় কি মাছের মতো কিছু একটা যেগুলো আলোকিত করে রেখেছে পুরো রাজমহলটা।।।এতো সুন্দর যে চোখ জুরে আসছে।
.
--আপনাদের রাজ মহলটা তো অনেক সুন্দর।(আমি)
.
--জ্বী হুজুর।।।তবে এটা শুধু আমাদের রাজমহল না।।এটা আপনার ও রাজমহল।(সেনাপতি)
.
--অনেক সুন্দর।।।সত্যি আমার জীবনে এতো সুন্দর জিনিস দেখি নি কোনোদিন।(আমি)
.
--আপনি তো আমাদের রাজ্যটা দেখেন নি।আমাদের রাজ্যটা আরো সুন্দর।(সেনাপতি)
.
--তাহলে তো একবার রাজ্যটা ঘুরে আসা দরকার।(আমি)
.
--হুজুর সেটা সম্ভব না।।।আপনাকে কালকে থেকে প্রশিক্ষন নিতে হবে।।।।১৫ দিনের মধ্যেই আপনাকে প্রস্তুত করার দায়িত্ব আমার উপর।(সেনাপতি)
.
--আমি যে সাতারই কাটতে পারি না ভালো করে।।।আপনাদের মতো তো আমার আর লেজ নেই।(আমি)
.
--আমাদের মতো হতে হলে লেজের দরকার নেই আমার হুজুর।।।আপনি হয়তো জানেন না।।।কিন্তু আমাদের প্রথম রাজা আপনার মতই মানুষ ছিলো।।।।তিনি আমাদের সর্বশ্রেষ্ট এবং সর্বশক্তিশালী রাজা ছিলেন।(সেনাপতি)
.
--তার কাছে তো শক্তিশালী ট্রিশুল ছিলো।।।বাট আমার কাছে তো তা নেই।(আমি)
.
--শক্তিশালী হতে কোনো অস্ত্রের প্রয়োজন হয় না।।মনে বিরাট মনোবল থাকলে ঠিকই শক্তিশালী হওয়া যায়।(সেনাপতি)
.
--আপনাদের যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।।।কিন্তু কিছুটা অদ্ভুদও লাগছে।।।কারন আপনাদের এভাবে দেখছি।(আমি)
.
--ও ওকে দারান।।।(সেনাপতি কি জেনো করলো আর তার পা হয়ে গেলো)
.
--আপনিও বদলাতে পারেন।(আমি)
.
--হ্যা।।এটা আমাদের সেনার সবার পারে।।।বাট এটা একটা গোপন বিষয়।।সবাই এটা জানে যে শুধু রাজ বংশীয়রাই এটা করতে পারে।।।কিন্তু এটা আমাদের জলপুরীর সেনার বংশীয়রাও করতে পারে।।।(সেনাপতি)
.
--এটাকে গোপন রাখার বিষয় বুঝলাম না।।।(আমি)
.
--আমাদের জল দেশের মধ্যে পুরো ৪ টা রাজ্য আছে।আপনি একটার রাজা হবেন।।।আরো ৩ টা রাজ্যের রাজা রয়েছে।।।তাদের সাথে যুদ্ধের সময় আমরা এই গোপন বিষয় দিয়ে আক্রমণ করি।।।তাদেরকে পানির উপরে নিয়ে আমরা তাদের শক্তি নষ্ট করে দি।(সেনাপতি)
.
--ওওও।।।।(আমি)
.
--হ্যা।।।নিন আপনার রুমে চলে এসেছে।।।আপনার রুমটা পুরো উপরের বায়ুর মতো করে সাজানো হয়েছে।আপনি যে কোনো সময় এই সুইচে চাপ দিয়ে রুমের সব পানি দূর করে আপনাদের পরিবেশের মতো করে নিতে পারবেন।আবার ঔ সুইচে চাপ দিলে পুরো রুমে পানি হয়ে যাবে।।।।(সেনাপতি)
.
--আপনাদের প্রযুক্তি তো অনেক উন্নত।(আমি)
.
--হ্যা।সেটা বলতে হবে।।।নিন আপনি রেস্ট করুন।।।আজকে আপনার প্রশিক্ষন হয় নি।।।কালকে সারাদিনই আপনাকে প্রশিক্ষন করতে হবে।(সেনাপতি)
.
--হ্যা।ধন্যবাদ।(আমি)
......
।।।।।
সুইচটা চাপ দিলাম।।।সব পানি বের হয়ে গেলো।।।।দরজায় কেমন একটা লেজার এর মতো জিনিস দেখা যাচ্ছে।ঔটা ভেদ করে পানি আসতে পারছে না।।।।ভালোই উন্নত প্রযুক্তি।।।ভালোই লাগছে।।।কিন্তু আমার ভালো লাগছে না।।।ভালো লাগতো যদি বাবা আম্মু আর হৃদি ও এখানে থাকতো।।।কিন্তু তারা তো আমার মতো পানির নিচে দম বন্ধ করে থাকতে পারবে না।।।তাদেরকে এখানে নিয়ে শুধু এই রুমেই রেখে দিতে হবে।।।।দুর আমাকে এখান থেকে বাসায় যেতে হবে।।।কিন্তু আমি তো এটাই জানি না আমি কোন সাগরে আছি।।এখান থেকে বুদ্ধি ছাড়া বাসায় যাওয়া যাবে না।।।আমাকে জারার প্রয়োজন পরবে এখান থেকে বের হওয়ার জন্য।একবার ওদের রাজা হয়ে গেলে তো আমাকে এখানেই থাকতে হবে।।।।আমি পারবো না সারাজীবন এখানে থাকতে।।।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।