*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ০৮
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।
।।।।
।।।।
হৃদির সাথে আমার রুমে চলে আসলাম।।
.
--হৃদি।(আমি)
.
--কি হয়ছে বল।(হৃদি)
.
--দেখ কিছুই লুকাবি না তোরা।।।আমাকে নিয়ে গোপনে কি কথা বলিস সব বলবি আজকে।(আমি)
.
--আমরা তো কিছুই বলি না।।।(হৃদি)
.
--শোন তোরা কি বলোস আমি মনে হয় জানি।।।আমার এখানে থাকা হবে না।।দেখ বোন আমার কাছে কিছুই লুকাস না।(আমি)
.
--বাবা বলতে মানা করছে।।(হৃদি)
.
--আমি জানি কেনো তারা মানা করছে।।।তারা আমাকে ত্যাগ করেছিলো তখন।কিন্তু এখন হারাতে চাই না।।।দেখ তুই যা জানিস সব আমাকে বলবি এখনই।(আমি)
.
--আচ্ছা বাবা বলছি।(হৃদি)
.
--হুমমম বল।(আমি)
।।।।
।।।।
হৃদি শুরু করবে এর মাঝেই আম্মু আর বাবা আসলো।
.
--তুই চিন্তা করিস না বাবা।।।এই নে অনেক ক্ষুদা পাইছে মনে হয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি তোকে।(আম্মু)
.
--হুমমম দাও।(আমি)
.
--তুই তো ভয় পাচ্ছিস না কি করে গেলি ঔখানে এটা ভেবে।(বাবা)
.
--আরে বাবা কি যে বলো না।।।মানুষ তো ঘুমের ঘোরেও হাটতে পারে।।।আমি হয়তো হাটতে হাতটে চলে গিয়েছিলাম।।।আর হয়তো হাটতে গিয়ে পরে মাথায় আঘাত খেয়েছিলাম যার জন্য আমি একদিন বেহুস হয়ে ছিলাম।(আমি)
.
--হ্যা ঔটায় হবে।।।তুই খেয়ে চুপচাপ রেস্ট নে।(আম্মু)
।
।।।।
৷৷।।।
আম্মু আমাকে আর হৃদিকে একসাথে খাইয়ে দিলো।।
.
--আম্মু কাল থেকে তো কলেজ শুরু।।কালকে কলেজে যাবো।(আমি)
.
--না না তোর কোথাও যেতে হবে না।(বাবা)
.
--আরে আমার কিছুই হবে না।।।আমি আর হৃদি কালকে কলেজে যাবোই।(আমি)
.
--ওকে যাস।।।এখন ঘুমা।(বাবা)
।।।।।
।।।।।
আম্মু আর বাবা চলে গেলো।।।
.
--নে এখন শুরু কর।(আমি)
.
--আমরা তখন খুব ছোট ছিলাম।।।আমার ও মনে নাই আমরা কতটুকু ছিলাম।।।আমরা একটা সমুদ্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।।।বাবা গাড়ি চালাচ্ছিলো আমি আর তুই আম্মুর কোলে ছিলাম বসা।।।হঠাৎই একটা পানির সুনামি আমাদের গাড়ির উপরে দিয়ে গেলো।।।সেই সুনামিতে আমাদের বাবা আর আম্মু বেচে গেলে কি হবে আমরা বাচতে পারি নাই।আমরা দুইজনই মরে গিয়েছিলাম।।।তখন বাবা আর আম্মু আমাদের দুজনেরই লাশ বুকে নিয়ে কাদতে ছিলো।।।আর হয়তো এতে জলের রাজার কিছুটা দয়া হয়।সে আমাদের দুইজনকে তার জীবনের বিনিময়ে জীবত করে দেন।কিন্তু একটা শর্তে।।শর্ত ছিলো আমাদের দুইজনের মধ্যে একজনকে জলপুরীকে দান করতে হবে।।।যদি ছেলে দান করে তাহলে সে হবে জলপুরীর রাজা আর যদি মেয়ে দান করে তাহলে সে হবে জলপুরীর রানী।বাবা আর আম্মু অনেক বড় প্রশ্নের সামনে পরেছিলো৷।তারা এটা ভেবে পাচ্ছিলো না কাকে দান করবে।তাও যদি একটা সন্তানের দানের জন্যও যদি তাদের দুটি সন্তানই জীবত থাকে তাতেই তারা খুশি।।।তারা শর্তে রাজি হয়ে যায়।(হৃদি)
.
--আর আমাকে দান করে দেই তাই তো (আমি)
.
--হ্যা।(হৃদি)
.
--আর ঔ দরবেশের কাহিনী না কি যেনো একটা শুনেছিলাম এর আগে।(আমি)
.
--ও সেই ঘটনার ৩ বছর পর।একটা লোক এসেছিলো আমাদের নানা বাসায়।।।আমরা তখন ঔখানেই ছিলাম।।তুই তখন মামার সাথে ঔ নদীর পাশেই ছিলি।।।আমি নানুর সাথে গল্প করতে ছিলাম।তখন একটা লোক এসেছিলো কিছু ভিক্ষা নিতে।।।আমি গিয়ে ভিক্ষা দিয়ে আসলাম।।।লোকটা আমাকে দেখে জোরে একটা চিৎকার দিলো।।তার চিংকারে বাসার সবাই চলে আসলো।।।তখন তিনিই বলেছিলো আমাদের দুইজনের যাতে কারো সাথে বিয়ে না হয়।।।বিয়ে হলেই সে রাতেই আমার স্বামী আর তোর স্ত্রী মারা যাবে।।।আর তোর সামনে আসা বিপদের ব্যাপারেও বলে দিয়েছিলো।।।আর একটা সমাধান ও দিয়ে দিয়েছিলো।(হৃদি)
.
--বিপদ মানে আমাকে জলপুরীতে চলে যেতে হবে এটাই তো।(আমি)
.
--হ্যা।(হৃদি)
.
--আর সেই সমাধানটা কি ছিলো।(আমি)
.
--সেই সমাধানটা কখনো সম্ভব না।।।সেটার কথা বাদ দে।।।তুই ঘুমা তো।(হৃদি)
.
--বল না।।।নাহলে তুই আমাকে এসব বলেছিস আমি কিন্তু বাবাকে বলে দিবো।(আমি)
.
--এই তুই তো ব্লাকমেইল করতেছোস।সব তো নিজেই জেনে নিয়েছোস।তাও আমার থেকে শুনতেছোস।আবার ব্লাকমেইল করবি।।।ঔ wait wait সব নিজেই জেনে নিয়েছোস।মানে এসব জানলি কোথা থেকে।।।নিশ্চয় জলপুরীরতে গিয়েছিলি।(হৃদি)
.
--.....(আমি হাসতে লাগলাম)
.
--তুই হাসছিস।।।বল না গিয়েছিলি কিনা।(হৃদি)
.
--হ্যা।।।তারা আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো।।।আর ১৫ দিনের মধ্যেই রাজা বানিয়ে দিতো।কিন্তু আমি তাদেরকে বোকা বানিয়ে ২ মাসের সময় চেয়ে এখানে চলে আসছি।(আমি)
.
--কি।।।।(হৃদি)
.
--হ্যা।আর এখন ভাবতে হবে তাদেরকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিয়ে দেওয়া যায় কেমনে।(আমি)
.
--ভাই আমার ঔখানে কি কি দেখলি রে।(হৃদি)
.
--বাদ দে।।।সব কাল্পনিক কাহিনী আমি তো তোকে বানিয়ে বানিয়ে বল্লাম।(আমি)
.
--আমি জানি ভাই ঔগুলা সত্য।।।প্লিজ বল না আমার লক্ষি ভাই।(হৃদি)
.
--হুমমম শোন তাহলে।।।তবে বাবা আর আম্মুকে বলবি না।(আমি)
.
--ওকে।।।(হৃদি)
।।।।
।।।।
হৃদিকে বলতে শুরু করলাম এক এক করে সব কাহিনী।।।শুধু জারার কথাটা বল্লাম না।।।সময় হলে ঠিকই বলবো।।।দেখি আমাকে এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে আমার আর ঔ পানিতে না যেতে হয়।আর জারাও আমার সাথে এইখানেই থাকবে।।।।
।।।
হৃদির সাথে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পরলাম।।।কালকে সকালে উঠেই রেডি হয়ে নিলাম কলেজের জন্য।যেহেতু আজকে প্রথম কলেজ তাই তারাতারিই নাস্তা করে বের হয়ে গেলাম।।।বাবার আমাদের কলেজে নামিয়ে দিলেন।
.
--হৃদি মা সব সময় তোর ভাইয়ের সাথে সাথেই থাকবি বুঝছিস।(বাবা)
.
--হুমমম বাবা।(হৃদি)
.....
।।।।।
বাবাকে বিদায় দিয়ে আমরা কলেজে ঢুকলাম।।কেনো যেনো মনে হচ্ছে জারা আমার খুব কাছে।।।ওকে আমি অনুভব করতে পারছি।আমার হার্টবিট বেরে যাচ্ছে।আমি সেই সুগন্ধিটা আমার আশেপাশে অনুভব করছি।।।তার মানে জারা এখানেই আছে।কিন্তু এই হৃদির জন্য মনে হয় আমার সামনে আসছে না।।।এইটাকে কিভাবে পিছু ছুটাই।দেখি কিছু করতে হবে।
.
--কিরে এভাবে আমার পিছু নিচ্ছিস কেনো।।।কলেজে আসছি নতুন তুই নতুন মেয়ে বন্ধু বানা যা আমি নতুন ছেলে বন্ধু বানাচ্ছি।(আমি)
.
--ঔ বাবা তোর সাথেই থাকতে বলছে শুনোস নাই।আর তুই আমার ভাই তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।।।নতুন কোনো বন্ধুর দরকার নাই আমার।(হৃদি)
.
--আমি জেন্টস টয়লেটে যাচ্ছি।ঔখানেও আমার সাথে যাবি।(আমি)
.
--ছিঃ।।।।যা তুই।আমি ক্লাসে যাচ্ছি।(হৃদি)
.
--যা।আমি আসছি।(আমি)
।।।।
।।।।
যাক একটু বিদায় নিলো।।।এই সুযোগে জারাকে খুজে নেওয়া যাবে।।।কিন্তু কোথাও তো দেখছি না ওকে।।।দূর যে ছুতাই পিছু ছিটালাম সেটাই করি গিয়ে।।।দরজা আটকে দিলাম তারপর শান্তি মতো কাজে খেয়াল দিলাম।।।পিছনে ঘুরতেই দেখি অদৃশ্য কিছু একটা দৃশ্যমান হচ্ছিলো।
.
--জারা তুমি এইখানে।(আমি)
.
--এই চুপ আসতে বলো।।।আমরা জোরে কথা বলার জায়গায় নেই।(জারা আমার মুখে হাত দিয়ে বললো)
.
--কোথায় ছিলে এতক্ষন।(আমি)
.
--দোতলায় ছিলাম।।।দেখলাম তোমার বোন তোমার পাশে ছিলো তাই তোমার সামনে এলাম না।।।কিন্তু যখন দেখলাম তুমি এখানে আসছিলে তখন আমিও অদৃশ্য হয়ে চলে আসলাম।(জারা)
.
--এটা কি অদৃশ্য হয়ে চলে আসার জায়গা তুমি আমার সব দেখে ফেলছো😭😭😭😭।।।(আমি)
.
--আরে বাবা কেদো না তো।।।কিছুই দেখি নি।।।অবশ্য দেখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সাহস হয় নি।(জারা)
.
--কথা বলবা না।।।আর জানো কেউ তোমাকে আর আমাকে এক সাথে বের হওয়া দেখলে খারাপ ভাববে।(আমি)
.
--আমাকে কেউ দেখবেই না।(জারা)
.
--ও তুমি তো অদৃশ্য হতে পারো।(আমি)
.
--হুমমম।আর শুনো।।।আমরা এখানে যতদিন আছি আমি তোমার সাথে এখানে পড়বো।(জারা)
.
--এটার কি দরকার ছিলো?(আমি)
.
--ছিলো কারন আমি তোমার পাশে থাকতে চাই সব টা সময়।(জারা)
.
--তাহলে আমার বাসায়ই তো থাকতে পারো।(আমি)
.
--হুমমম।আজকে সেটাও হবে।(জারা)
.
--কিভাবে।(আমি)
.
--তোমার বোন আছে না।।।ওর দ্বারাই হবে।(জারা)
.
--সেটা কিভাবে করবা।(আমি).
.
--কালকে এই সবের জন্য অনেক জাদুর বই পড়তে হয়েছে।।।তাই সবই সম্ভব হবে তুমি শুধু দেখতে থাকো।(জারা)
.
--কিন্তু।(আমি)
.
--কোনো কিন্তু নয়।।।(জারা)
।।।।
।।।।
জারা আমার ঠোটে একটা চুমু দিয়ে অদৃশ্য হয়ে দরজাটা খুলে বাইরে চলে গেলো।।।আমি ও বের হয়ে গেলাম।।।উপরে চলে আসলাম।।।আমাদের ক্লাস রুমে চলে আসলাম।।।ক্লাসে ঢুকলাম দেখি জারা আর হৃদি বসে বসে গল্প করতে ছিলো।।।অনেক হাসা হাসি করে গল্প করতে ছিলো।।।দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো অনেক ভালো বন্ধু হয়ে গেছে ওরা।।।হয়তো জাদু করেছে হৃদির উপরে জারা।।।করুক।।আমি তো আর ওদের পাশে গিয়ে বসতে পারবো না।।।ছেলেদের বেঞ্চেই বসতে হলো এক পাশে।।।ব্যাগটা রেগে ক্লাস থেকে বাইরে বের হলাম।।।দুজন ও দেখি বাইরে আসলো।
.
--জারা তোকে পরিচয় করিয়ে দি ওর সাথে।।।ও হলো আমার একমাত্র ছোট ভাই।(হৃদি)
.
--তোরা তো একই রকম দেখতে দুজন হৃদি।(জারা)
.
--হ্যা কারন আমরা জমজ ভাইবোন।।।আর হৃদয় ও হলো আমার নতুন বান্ধুবী জারা।।।(হৃদি)
.
--কিরে তুই নাকি নতুন বন্ধু বানাবি না।(আমি)
.
--এখানে তো আর আমি আর তুই পাশাপাশি বসতে পারবো না।।।।তাই পাশে বসার মতো একজন ভালো বন্ধুর তো দরকারই হয়।(হৃদি)
.
--তো কেমন আছো হৃদয়।(জারা)
.
--জ্বী অনেক ভালো আছি।তুমি কেমন আছো।(আমি)
.
--আমিও অনেক ভালো আছি।(জারা)
.
--জারা তুই থাকোস কোথায় রে।(হৃদি)
.
--আমার বাসা তো এই শহরে নারে।।।আমি অনেক দূরে থাকি।।এই শহরে আমার এক আত্মীয় এর বাসা আছে সেটাও অনেক দূরে।।।একটা থাকার মতো ভালো ছাত্রী মেস খুজতেছি।।।কিন্তু কোথাও পাচ্ছি নারে।(জারা)
.
--কি।আচ্ছা আমি তোকে থাকার জায়গার ব্যবস্থা করে দিলে কেমন হয়।(হৃদি)
.
--তোর চেনা কোনো ছাত্রী মেস আছে।(জারা)
.
--ছাত্রী মেস হতে যাবে কেনো।।।তুই আমাদের বাসায় থাকবি আমাদের সাথে।।।এমনিতেই আমাদের বাসার অনেকগুলা রুম পরে আছে।(হৃদি)
.
--কিন্তু তোর বাবা আর আম্মা কি আমাকে থাকতে দিবে।(জারা)
.
--কেনো দিবে না।।।সেসব নিয়ে তোমাকে কিছুই ভাবতে হবে না।।।আমরা বললে এমনিতেই তারা রাজি হয়ে যাবে।(আমি)
.
--তোর এই ঋণ আমি কিভাবে শোধ করবো।(জারা)
.
--শোধ করতে হবে না।।।বন্ধুরা তো বন্ধুদের জন্যই তাই না।।।(হৃদি)
।।।
স্যার আসছে।।হৃদি আগে আগে ক্লাসে ঢুকলো।।।জারা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারলো।।।তারপর ও ক্লাসে ঢুকে গেলো।আমিও বসে পরলাম বেঞ্চে।।।পুরো ক্লাসের ছেলেরা নয় শুধু স্যারও হা করে তাকিয়ে ছিলো জারার দিকে।।।আমার তো হিঃসা হচ্ছিলো।।।খুব রাগ ও হচ্ছিলো সবার চোখ যদি ফুটো করে দিতে পারতাম।।।বাড়ি কি মা বোন নাই এভাবে পরের বউকে দেখার কি আছে।।।আর যদি এরা জানতে পারে ও আসলে কি তাহলে তো ভয়ে সবাই এখানেই বেহুস হয়ে যাবে এটা ভেবে হাল্কা হেসে দিলাম।।।মাঝে মাঝে আমি তাকাচ্ছিলাম।জারাও আমার দিকে তাকাচ্ছিলো হৃদির সাথে গল্প করতে করতে।।।ক্লাস শেষ করে চলে আসলাম আমি আর হৃদি আমাদের বাসায়।।।হৃদি আমাদের বাসার ঠিকানাটা দিয়ে দিলো জারাকে।।বিকালে যাতে ব্যাগ ঘুছিয়ে চলে আসে আমাদের বাসায় সেটাও বলে দিয়েছে হৃদি।।।যাক আমাকে কিছুই বলতে হলো না।।।কিছু করতেও হলো না।।।আর ভাবছি ওর তো জামা কাপড় নেই।।।আজকে কলেজ ড্রেস বোরকাটা পেলো কোথায়।।।শুধু ঔ লাল জামাটাই তো পড়া ছিলো।।।আবার দেখা হোক শোনা যাবে।বাসায় এসে হৃদি আম্মুকে জারার কথা বললো।।।আম্মু রাজি হয়ে গেলো।।।কারন সবার সাহায্য করতে আমার আম্মু আর বাবা খুব উদার।।বিকালে জারাও চলে আসলো একটা বিশাল দুইটা ব্যাগ নিয়ে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।