*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ২৩
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।।
।।।।।
।।।।।
আমি রুমটার মধ্যে ঢুকতেই আলো জ্বলে উঠলো পুরো রুমটাতে।।।আমি বেশ আশ্চর্য হলাম।।কারন দেয়ালে আমার নিজের ছবি দেখতে পেলাম।।।এখানে আমার ছবি যে কিভাবে আসলো সেটাই বুঝতে পারছি না আমি।।।অনেক রহস্য অবশ্য নিহিত আছে এর মাঝে।।।।দেওয়াল গুলেতে আমার অনেক ছবি আছে।।।।শুধু আমার নয় সাথে জারা,নিলা আর মোহনার ছবিও আকা রয়েছে।।তবে কি রাজা হারকিউমাস ভবিষ্যৎ দেখে ফেলেছিলেন।।নাকি আমার কোথাও বুঝতে ভুল হচ্ছে।।।কি জানি হয়তো কিছু একটা হবে।।।কিন্তু রহস্যটা আমাকে ঘুরিয়ে দিলো।।।।অবশ্য সে মহাজাগতিক রাজা ছিলেন।।।তাই ভবিষ্যৎ তিনি দেখতেই পারেন।।।
।
রুমটা টেরাকোটায় ভরা।।।চোখ জুরিয়ে যাচ্ছে।।।আমি দেখতে দেখতে আগাচ্ছিলাম।।সামনে আগাচ্ছি যত ততই অবাক হচ্ছি আমার নিজের সব আকা ছবি দেয়ালে ভাসতেছে।।।তবে কি আমি হারকিউমাসের মতোই ভাবি,নাকি তার গুন আমার মাঝে আছে।।।হয়তো তেমন কিছুই হবে।।।
।
আমি দেখতে দেখতে আগাচ্ছিলাম সামনেই দেখতে পেলাম একটা বড় সিন্দুক।।সিন্দুকে লেখা তোমার প্রীয় মানুষটার নাম মনে করো তারপর আমাকে ধরো।
।
আমার প্রীয় মানুষটা কে হবে।।।দেখি জারাকে ভেবে হাত দিলাম সিন্দুকে কিন্তু খুললো না।।।এরপর নিলাকে ভেবে হাত দিলাম কিন্তু খুললো না।।।তবে কি আমার ভাবতে সমস্যা হচ্ছে।।।তবে কি মোহনা হবে?না এবারও খুললো না।।।আচ্ছা আমার প্রীয় মানুষ যার জন্য সব করতে পারবো সে তাহলে??হৃদি।।।হ্যা হৃদিই হবে।।
।
হৃদির কথা ভাবতেই খুলে গেলো সিন্দুকটা।।।এই সিন্দুকের সাথো তাহলে হৃদির সম্পর্ক কি কিছুই বুঝলাম না।।কিন্তু আমি ট্রিশুলটা পেয়ে গেছি।।।অনেক উৎসাহ নিয়ে আমি হাত দিলাম ট্রিশুলটাই।।।।হাত দেওয়ার সাথে সাথেই বিদ্যুতের চমকা ছরিয়ে পরলো চারিদিকে।।।মনে হলো এই ট্রিশুলটা তার মালিককে পেয়ে এখন অনেক খুশি হয়েছে।।।ট্রিশুলটা আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে।।।কিন্তু তার ভাষা আমি বুঝতে পারতেছি না।।।সিন্ধুকের ভিতরে একটা মোটা বই দেখতে পেলাম।।।সাথে সাথে হাত দিলাম।।।মনে হচ্ছে এটা হারকিউমাসের লেখা বই।।।কিন্তু বইটা লক করা।।।কোনো মতেই খুলছে না।।।কয়েকবার চেষ্টা করার পরই বইটি নিজেই বলতে শুরু করলো,
.
--আমাকে খোলার চেষ্টা করবেন না।।।আমি নির্দিষ্ঠ সময়ের জন্য তালাবদ্ধ।।।যেদিন সময় হবে সেদিনই আপনি আমাকে পরতে পারবেন।(বই)
.
--কিন্তু আমার তোমাকে পড়ার কি দরকার?(আমি)
.
--আছে একটা সময় আসবে যখন আমি ছাড়া কোনো সমাধান পাবেন না আপনি।(বই)
.
--তাহলে বুঝবো কবে তোমাকে আমার প্রয়োজন।(আমি)
.
--যেদিন খুজে পাবেন না কি করবেন।সব পথই আপনার আটকে যাবে সেদিন আমার কাছে চলে আসবেন।(বই)
.
--হুমমম ঠিক আছে।(আমি)
.
--কিন্তু তার আগে আমাকে এই সিন্দুকেই তালাবদ্ধ করে রাখুন।(বই)
.
--হুমমম কিন্তু তালাবদ্ধ করবো কিভাবে?(আমি)
.
--যেভাবে খুলেছেন সেভাবেই বন্ধ করবেন।(বই)
।।।।
।।।।
আমি আবারো হৃদির কথা ভেবে সিন্দুক বন্ধ করলাম।।।এবার লক হয়ে গেলো।।।যা ভেবেছিলাম কত কঠিন হবে ট্রিশুলটা নিতে।।।কিন্তু এতো অনেক সহজ হয়ে গেলো।।।কিন্তু বই যে বললো ওকে আমার প্রয়োজন হবে তাই আমি দরজার কাছে আসলাম।
.
--দরজা।(আমি)
.
--হুমম।।।হুজুর বলেন।(দরজা)
.
--সামনে এমন কি হবে যেটার জন্য হারকিউমাস আমার জন্য বই লেখে রেখেছেন।(আমি)
.
--সেটা আমি বলতে পারি না।।।রাজা হারকিউমাস আমাকে তার জাদু দিয়ে সৃষ্টি করেছেন কিন্তু কিছু জ্ঞান থেকে আমাকে মুক্ত রেখেছেন এগুলো তারই একটা।(দরজা)
.
--ও তোমাকে ধন্যবাদ।(আমি)
.
--হুমমম হুজুর আমাদের আবার খুব শীঘ্রই দেখা হবে।(দরজা)
।।।।
।।।।
দরজার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।।।ভাবলাম ট্রিশুল তো আমার হাতেই তাহলে দেখা যাক ট্রাব গুলো কাজ করে নাকি আমার উপরে।।।কিন্তু না এবার আমি ভালো ভাবেই বের হতে পারলাম।।।আমি নিরাপদে বাইরে চলে আসলাম।।।দেখি নিলা আর জারা এখনো ঘুমাচ্ছিলো।।ওদের ঘুম দেখে আমি আমারও ঘুম পাচ্ছিলো।।।কিন্তু ঘুমানোর সময় নেই আমার।।।আমি ট্রিশুলটা নিয়ে অনেক উত্তেজিত।।।এটার নাকি অনেক ক্ষমতা।।।তাহলে পরীক্ষা করেই দেখা যাক।
।
ভেবেছিলাম এটা শুধু পানিতেই কাজ করে।কিন্তু না সবক্ষানেই।।।ট্রিশুল দিয়ে সামনে আঘাত করলাম বড় সড় একটা এনার্জি বলের মতো বের হলো।।।আমাকে পিছনের দিকে জোরে ফেলে দিলো সাথে সাথে।।।ট্রিশুলটা আমার থেকে দূরে পরে গেলো।।।গিয়ে আবার ধরলাম।।।
।
কি যেনো বলতে চাচ্ছে।।।হয়তো আমাকে বোঝাচ্ছে আমাকে বুঝতে শিখ তাহলেই আমাকে চালাতে পারবি।।।সামনে তাকিয়ে দেখলাম পুরো বড় একটা অঞ্চলের বালি পুরো উঠে গেছে।।।।।।দেখে মনে হচ্ছে এখানো কোনো পারমানবিক বোমা ফেলা হয়েছে।।।যা বাবা এটার কি শক্তি।আমাকে পুরো অবাক করে দিলো।।।।।আমি চোখ বন্ধ করলাম।।।বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকলাম ট্রিশুল আমাকে কি বলে।।।
.
--আমাকে বিশ্বাস করো।।।আমার উপরে লোভ দেখিয়ো না।।।যদি বিশ্বাস করো তাহলেই আমাকে দিয়ে সঠিক ব্যবহার করাতে পারবে।।যদি লোভ দেখাতে যাও তাহলে পারবে না।।।(ট্রিশুল)
।।।।
।।।।
ট্রিশুলের কথা ভালোই লাগলো।।।আমাকে তো আমার রাজ্যকে বাচাতে হবে।।।।আমি এবার মনোযোগ দিলাম।।।।ট্রিশুলটা দিয়ে আবার আঘাত করলাম।।।এবার সেটা আমার মনোযোগ মতোই একটা এনার্জি বল বের করলো।।।।যেটার মাধ্যমে আগের মতো গর্ত না হলেও অনেকটা ভয়াবহ ছিলো এটা।।।।
।
এই অস্ত্র তো সত্যি এই পৃথিবী ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।।।যে করেই হোক আমাকে এটার সঠিক ব্যবহার করতে হবে।।।এটা খারাপ হাতে চলে গেলে দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে।।।।।তখন এনার্জি বলের চরম শব্দে নিলা আর জারার ঘুম ভেঙে গেলো।।।।ওরা দুজন ভয়ে আমার কাছে ছুটে এসেছে।।।আমাকে দেখে হেসে জরিয়ে ধরলো আমাকে।।।আরো অবাক হয়েছে আমার হাতে ট্রিশুলটা দেখে।।।।।।
.
--এটা কিভাবে পেলে তুমি?(জারা)
।।।।
।।।।
আমি ওদেরকে ট্রিশুল পাওয়ার কাহিনীটা বল্লাম।
.
--তো এবার আমরা কি করবো?(নিলা)
.
--সবচেয়ে প্রথম আমার একটা রাজ্যের সাহায্য লাগবে।।।আমি যুদ্ধের মাধ্যমে রাজ্য ফিরে পেতে চাই।(আমি)
.
--কিন্তু সব রাজ্যই তো সেনাপতির হাতে।।।কেউ তো আমাদের সাহায্য করবে না।(জারা)
.
--আমরা মানুষদের কাছে সাহায্য চাইতে পারবো না।।।কারন তারা এসব বিষয়ে অজ্ঞ।আর তাদের এসব বিষয়ে সাহায্য আমরা কখনো পাবো না।(আমি)
.
--তাহলে দানবদের রাজ্যে গেলে কেমন হয়?(নিলা)
.
--হ্যা সেটা খারাপ হয় না।।।তারা তো শক্তিশালী।।।কিন্তু রাজা ছাড়া যে কারো সাহায্য করে না।(আমি)
.
--সেটাও তো কথা।(নিলা)
.
--করবে না কেনো।।।এখন তাদের করতেই হবে।।।না করলে তাদের রাজ্যই প্রথমে আমাদের করে নিবো।(আমি ট্রিশুলটা জোরে মাটিতে আঘাত দিলাম।।।সাথে সাথে আমাদের চারিপাশের মাটি বাদে অনেকটা অঞ্চলের মাটি নিচে চলে গেলো।।।শুধু আমরা যেখানে দারিয়ে ছিলাম আর রাজহুরা মানে মন্দিরের মতো এই জায়গাটার মাটি কিছুই হলো না)
.
--এটা কি হলো।(নিলা আর জারা পুরো হা করে তাকিয়ে আছে)
.
--এতো শক্তি এটার মাঝে।(জারা)
.
--হ্যা তবে আমি কন্ট্রোল করার মাধ্যম পেয়ে গেছি।।।কোনো ভয়ের কারন নেই।(আমি)
.
--ভয় তো সেটা নিয়ে হচ্ছে না।।।ভয় হচ্ছে যদি এটা অন্য কারো হাতে চলে যায় তাহলে কি হবে সেটা নিয়ে আমি ভাবছি।(জারা)
.
--আমাদের শুধু সাবধান হতে হবো তাতেই হবে।(আমি)
.
--হুমমম তাহলে চলো আমরা রওনা দি দানবদের রাজ্যের উদ্দেশ্যে।(নিলা)
.
--হুমমম চলো।।(আমি)
।।।।
।।।।
নিলা আবার ও উরাল দিলো আমাদের নিয়ে।।।অনেক গতিতেই সে উড়ছে।বেশী সময় লাগবে বলে আমার মনে হয় না।।কিন্তু মাথার টনক নরলো।আমরা মাত্র ভারতে আছি।।।আমাদের আবার লন্ডনে যেতে হবে।।।আমি নিলাকে আমাদের নিচে নামাতে বল্লাম।এভাবে উড়তে থাকলে তো আমাদের দুইদিন লেগে যাবে।।।আর আকাশপুরীর কেউ যদি আমাদের দেখে ফেলে তাহলে আগেই সমস্যা হতে পারে।।।।তাই আমি নিচে নেমে গেলাম।
.
--কি হলো আমরা এভাবেই উড়ে যেতাম।(নিলা)
.
--পাগল হয়েছো।।।রাস্তা চিনো কোনদিকে যেতে হবে আর এভাবে গেলে তো দুইদিন লেগে যাবো আর এতো জোর তোমার মাঝে থাকবে না যে আমাদের দুইজনকে পরে বহন করতে পারবা।(আমি)
.
--আমি পারবো।(নিলা মাথা নিচু করে)
.
--দেখো আমাকে মুগ্ধ তোমার করতে হবে না।।।তুমি যেমন আছো সেভাবেই তোমাকে আমার ভালো লাগে।।।তেমনই থাকার চেষ্টা করলে হয়তো আর বেশী ভালো লাগবে।(আমি)
.
--হুমমম।(নিলা এবার আমাকে জরিয়ে ধরলো।।।অবশ্য জারার দিকে তাকালাম।।।দেখলাম ও এতে কিছু মনে করে নি তাই আমিও একটু ধরলাম।।তারপর ছেড়ে দিলাম)
.
--আমি এর থেকেও সহজ রাস্তা পেয়েছি।।।।নিলা তুমি আমাদের শুধু সাগর পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যাও।(আমি)
.
--হ্যা চলো।(নিলা)
।।।।
।।।।
নিলা আমাদের নিয়ে গেলো সাগর পর্যন্ত উরিয়ে।।।তারপর আমি পানিতে আমার হাতটা ফেলে দিয়ে আশে পাশের প্রানীদেরকে অনুভব করতে লাগলাম।।।চেষ্টা করতে লাগলাম কাউকে ডাকার জন্য।।।আমি পাশেই একটা বড় সড় ডলফিন অনুভব করলাম।।।আমি ডাকার চেষ্টা করলাম তাকে।।।আমার ডাকে সে পাড়ে চলে আসলো।।।জারা বসলো সামনে,আমি ওর পিছনে ওকে জরিয়ে বসলাম আর নিলা আমার পিছনে আমাকে জরিয়ে ধরে বসলো।।।ডলফিনকে ইশারা করলাম যত তারাতারি সম্ভব আমাদের কে লন্ডনে পৌছে দিতে।।।।।সে আমাদের পুরো বেগে নিয়ে যাচ্ছে।।।আমি একটা প্রতিরক্ষা কবজ বানালাম ট্রিশুলটা দিয়ে।।।যাতে আমরা যে পানির উপর দিয়ে যাচ্ছি এটা কেউ বুঝতে বা দেখতে না পারে।।।আমরা সকাল হওয়ার আগেই পৌছে গেলাম লন্ডনে।।।অদ্ভুদ করা বিষয় প্লেনে যেতেই মানুষের কত সময় লাগে আর আমরা কিনা একটা ডলফিনের উপরে চড়েই ২ ঘন্টার মাঝেই পৌছে গেলাম লন্ডনে।।
.
--আচ্ছা আমরা লন্ডনে কেনো এলাম।(নিলা)
.
--দানবদের রাজ্যে ঢুকতে।(আমি)
.
--সেটা তো সেই জাদুঘর থেকে ঢুকতে হবে।(নিলা)
.
--সেটার জন্য আমাদের রাতের অপেক্ষা করতে হবে।।।কিন্তু আমাদের কাছে এতো সময় নেই।।।আমি সময় হারাতে চাই না।।।তাই আমরা যেই লাইব্রেরি দিয়ে বের হয়েছিলাম সেটা দিয়েই ঢুকবো।(আমি)
.
--কিন্তু সেটা তো পরে সাধারন দরজা হয়ে গিয়েছিলো?(নিলা)
.
--কোনো সমস্যা নেই।।।তুমি আমার সাথে চলো তো।।।গেলেই দেখতে পারবে।(আমি)
.
--হুমমম চলো।।।দেখি কি হয়।(নিলা)
।।।।
।।।।
তিনজনে উঠলাম সাগর থেকে পুরো ভিজে গেছিলাম।।।আমি আর জারা সাথে সাথেই শুকিয়ে গেলাম।।।আর জারা জাদু দিয়ে নিলাকেও শুকিয়ে দিলো।।।তারপর একটা গাড়ি নিয়ে আমরা লাইব্রেরীটাতে চলে আসলাম।।।।যেই দরজা দিয়ে আমরা বের হয়েছিলাম সেখানের সামনে এসে খুললাম।।।
।
কিন্তু কাজ হলো না।।।ভিতরে অন্য একটা রুম দেখা যাচ্ছে।।।তাই এবার বলতে শুরু করলাম।
.
--আমি জলপুরীর রাজা হৃদয় টিটান।।।তবে এখন শুধু জলপুরী নয় আমি পুরো তিন পুরীই শাসন করার ক্ষমতা রাখি।।।কারন আমার কাছে আছে মহান রাজা হারকিউমাস টিটান এর মহাশক্তিশালী ট্রিশুল।।এটা থাকা মানে আমিই সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা এই দুনিয়ার মধ্যে।।।যদি আমার সাথে দানব রাজ্যের যুদ্ধ না চান তাহলে দরজা এখনি খুলুন।(আমি)
.
--এটা বললেই কি খুলবে।।।তুমি কি পাগল হয়ে গেছো।।।তোমার কথা কি সেখান পর্যন্ত যাচ্ছে।(নিলা)
।।।।
।।।।
নিলা আর জারা আমার সাথে তর্ক শুরু করে দিলো।।।কিন্তু সাথে সাথেই দরজা খুলে গেলো।।।আবার সেই অন্ধকারময় রাস্তা।।।মানে দানবদের রাজ্যে ঢুকার রাস্তা।।।সোজা সেই দানবের বাড়িতে ঢুকবো আমরা।।।।।আমি জারা আর নিলার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে ভিতরে পা দিলাম।।।ওরা লজ্জা পেয়ে আমার পিছে আসতে লাগলো।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।