*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ১২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।।
।।।।।
।।।।।
সেনাপতির সাথে যেতে লাগলাম।।।আশেপাশের সব কিছু দেখে অবাক হচ্ছি।।।পানির নিজ দিয়ে আসলাম কিন্তু এখানে আমাদের উপরের মতই আবহাওয়া।।।হাটতে লাগলাম।কিন্তু কতক্ষন হাটা যায়।।।আশে পাশে সব চোর বাটপার মনে হচ্ছে।।এক একটাকে দেখলেই ভয় করে সাইজ কি এক একটার।
.
--সেনাপতি আমরা আর কতক্ষন হাটবো এভাবে?(আমি)
.
--হুজুর মাফ করবেন।।।কিন্তু আমাদের এখান থেকে আমাদের রাজা হারকিউমাসের বানানো ম্যাপটা চুরি করে নিতে হবে।(সেনাপতি)
.
--চুরি।(আমি)
.
--হ্যা।।আর হুজুর আমাকে আনিল বলে ডাকবেন এখানে সেনাপতি বললে হয়তো সবাই সন্দেহ করবে।(সেনাপতি)
.
--ঠিক আছে।।।কিন্তু আমরা কোথায় পাবো সেই নকশাটি।(আমি)
.
--সেটা এখানের রাজ দরবারের সেনা কক্ষে রয়েছে।(আনিল)
.
--সেনা কক্ষ।সেখান থেকে কিভাবে আমরা সেইটা চুরি করবো।(আমি)
.
--এসেছি যখন তখন তো কিছু করতেই হবে।।।চলুন আগে রাজ দরবার থেকে ঘুরে আসা যাক।(আনিল)
।।।।।
।।।।।
আমি আর সেনাপতি দুজনে রাজ প্রাসাদ দিকে হাটতে লাগলাম।।।।এতো সুন্দর গাড়ি আশে পাশে আর আমি এখন একজন রাজা হয়ে হাটতেছি ব্যাপারটা খারাপ লাগছে।।।তবুও এমন সুন্দর জায়গায় হাটতে পেরে মন খুশিতে ভরে যাচ্ছে।হাটতে হাটতে রাজ প্রাসাদের কাছেই চলে আসলাম।।খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
.
--দেখেছেন আনিল।আমাদের রাজ প্রাসাদ থেকে কত সুন্দর এখানের রাজ প্রাসাদ।তাহলে ভাবেন এখানের রাজকুমারী কত সুন্দর হবে।(আমি)
.
--আস্তে বলেন হুজুর।(আনিল)
.
--কেনো?(আমি)
.
--এখানের রাজকুমারীর কথা মুখে আনলেই গর্দান নিয়ে নেওয়া হয়।(আনিল)
.
--কি বলেন এই underworld রাজা কি জাতি?(আমি)
.
--এই রাজ্যের রাজার পূর্বপুরুষ তারা আকাশপুরীর অধিবাসী ছিলো।।।তারাই প্রথম এই জায়গার সন্ধান পান।।।তারা সবার জন্যই এই জায়গাটা উম্মোক্ত করে দিয়েছেন।।।এখানে মানুষ,জ্বীন,পরী সবাই আসতে পারবে।(সেনাপতি)
.
--ওওও।(আমি)
.
--হ্যা।।।এখানের প্রথম রাজাটা ছিলো একজন আকাশপুরীর জ্বীন।।।সে আমাদের জলপুরীর পাশের রাজ্যের একজন রাজকন্যাকে নিয়ে এখানে পালিয়ে আসেন।।এই জায়গাটার সৃষ্টি করেছিলেন আমাদের রাজা হারকিউমাস।এটা ছিলো তার সাধনা করার জায়গা।।।আমরা শ্রদ্ধা করে কখনো এই জায়গায় আসি নাই।কিন্তু সেই সময়ের পর থেকে সেই জ্বীনটা এই জায়গাটায় নিজের রাজ্য হিসাবে ঘোষনা করে দেই।(আনিল)
.
--তখন আপনারা যুদ্ধ ঘোষনা করেন নি।(আমি)
.
--ভেবেছিলাম তারা একা কি করে রাজ্য বানাবেন এটাকে।কিন্তু আস্তে আস্তে যে সবার জন্য জায়গাটা খুলে দিবে সেটা কে জানতো।।।।আমাদের রাজ্যের সব চোর বাটপার রা আকাশপুরীর সব চোর বাটপার রা।তারপর আপনাদের মত মানুষ যারা চোর বাটপার সব কিছুতে ভরে গেলো এই নিচের দুনিয়াটা।।।আর তাদের সেনাও হয়ে গেলো।(আনিল)
.
--তাহলে তারা এখন অনেক শক্তিশালী।(আমি)
.
--হ্যা।তাদের কাছে তিন শক্তিই আছে।।।আপনাদের সব পারমানবিক অস্ত্র এখানে রয়েছে।।।যেটাকে আধুনিকতার ছোয়া দিয়েছে এখানে বিজ্ঞানীরা।।।এখন সেটা দিয়ে শুধু আপনাদের দেশ নয়।জ্বীন পরীদের দেশও ধ্বংস করা যাবে।(আনিল)
.
--তাহলে তারা কি যুদ্ধ করে না।(আমি)
.
--এখানের রাজা কোনোদিনই কারো পক্ষে থাকে না।আর থাকবেও না।।।তাদের সব আধুনিক অস্ত্র তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বানিয়ে রেখেছেন।।।তারা কখনো নিজে থেকে যুদ্ধ করবে না।যদি কেউ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে তবেই তারা যুদ্ধ করেন।(আনিল)
.
--তাহলে যাদের কথা ভাবি নি কখনো তারাই সবশেষে শক্তিশালী সৈন্য।(আমি)
.
--হ্যা।সেটা বলা যায়।।।কিন্তু এই রাজ্য এমন ভাবে তো সাজানো থাকে না।মনে হয় কোনো উৎসব হবে।(আনিল)
.
--হ্যা শুনে নেওয়া যায়।(আমি)
.
--হুজুর কাউকে জিজ্ঞাসা কইরেন না।(আনিল)
।।।
।।।
আমি সেনাপতির কথা শুনলাম না।।।।দেখলাম একটা ঘোমটা পরা মেয়ের মতো লাগলো।।।হয়তো কোনো পরী হবে।।।।সে যাইহোক আমি ডাক দিলাম।
.
--এইযে শুনছেন।(আমি ঘোমটা পরা মেয়েটাকে ডাক দিলাম।সে আমার ডাক শুনে ঘোমটা টা ভালো করে ডেকে উত্তর দিলো)
.
--হুমমম কিছু বলবেন?(মেয়েটা)
.
--এই রাজ প্রাসাদ এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে কেনো?(আমি)
.
--আপনি কি এখানে নতুম।(মেয়েটা)
.
--না আমরা নতুন না দুইমাস আগেই এসেছিলাম একটা ব্যবসার জন্য এখানে।আবারও আসতে হলো।এসেই দেখছি সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে।(আনিল)
.
--ওওওও।।।রাজকুমারী নিলানিথির বিয়ে ঠিক হয়েছে তার বিয়ের বর খোজের অনুষ্ঠানের জন্যই সাজানো হচ্ছে।(মেয়েটা)
.
--তাহলে তো এখানে থেকে নকশাটা নিয়ে বের হওয়া অনেক কষ্ট হয়ে যাবে জনাব।(আনিল আমার কানে আসতে আসতে বললো)
.
--আপনাদের দেখে তো মনে হচ্ছে না আপনারা ব্যবসা করতে আসছেন।(মেয়েটা)
.
--আমাদের দেখে মনে হয় না কিন্তু আমরা আসলেই এখানে একটা সওদা করতে আসছি।(আনিল)
.
--আমার সামনে মিথ্যা বলে লাভ হবে না।।।আমি একজন যাদুকারীনি।আপনি তো একজন জলমানব।আর আপনি আপনি তো একজন মনুষ্য।।আর আপনারা এখানে কোন কার্য হাসিল করতে আসছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি।(মেয়েটা)
.
--দেখুন আমরা।(আনিল)
.
--আমি কি রাজা মশায়কে বলে দিবো আপনাদের কথা।।।তারপর সে আপনাদের গর্দান নিয়ে নিবে।(মেয়েটা)
.
--না একদম সেটা করবেন না।।আপনি যা চাবেন আপনাকে সেটাই দেওয়া হবে।(আমি)
.
--হুমমম আমার সন্দেহ হয়েছিলো আপনারা হয়তো গুপ্তচোর।আমি তো শুধু তীর ছুরলাম কিন্তু দুটো নিশানায় যে লেগে যাবে সেটা ভাবি নি।(মেয়েটা)
.
--মানে?(আমি)
.
--হুজুর সে আমাদের সাথে ব্যবসা করতে চাচ্ছে।(আনিল)
.
--হ্যা আপনি বুঝেছেন।তো এখানে কি করতে আসছেন বলবেন।(মেয়েটা)
.
--আপনিই তো বললেন আপনি জাদুকর তাহলে এখন জিজ্ঞাসা করছেন কেনো?(আমি)
.
--হুজুর সে আমাদের বাজিয়ে দেখেছেআর আমরা তার কথায় বেজে গেছি।এখন সে কি চাই সেটাই করতে হবে নাহলে এখান থেকে আমাদের বের হওয়া কষ্ট হয়ে যাবে।(আনিল)
.
--আমরা এখানে সেনা কক্ষ থেকে একটা নকশা চুরি করতে আসছি।(আমি)
.
--সেনা কক্ষ থেকে নকশা চুরি করা আপনাদের মতো ছুচুদের কাজ না।।।চলে যান এখান থেকে।(মেয়েটা)
.
--সেটা আমাদের যে কোনো হারেই নিয়ে যেতে হবে।(আনিল)
.
--সেটা নিয়ে আপনারা কোথায় যাবেন।(মেয়েটা)
.
--সেই নকশা আমাদের যেখানে যেতে বলে সেখানে।(আনিল)
.
--মনে হচ্ছে ট্রেজার হান্ট।।ঠিক আছে আমি আপনাদের ঔ নকশাটা এনে দিবো বিনিময়ে আমাকে কি দিবেন।(মেয়েটা)
.
--আপনি চাইলে আপনাকে আমি এক থলি স্বর্ন মুদ্রা দিবো এই কাজের বিনিময়ে।(আমি)
.
--না সেটাই হবে না।(মেয়েটা)
.
--তাহলে বলেন কি লাগবে আপনার।(আমি)
.
--আমাকে এই রাজ্য থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে যাবেন।এবং আপনাদের সাথে আমাকে সেই গুপ্তধনে ভাগ দিতে হবে।(মেয়েটা)
.
--ওকে ঠিক আছে।(আমি সেনাপতির দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম।।মেয়েটা ভাবছে আমরা মনে হয় গুপ্তধন খুজছি)
.
--তাহলে আপনাদের মধ্যে একজন আসুন আমার সাথে।আর একজন এখানে দাড়িয়ে অপেক্ষা করুন।(মেয়েটা)
.
--হুমমম হুজুর আপনি থাকেন।।।আমি যাচ্ছি।।।ভিতরে বিপদ হতে পারে।।।(সেনাপতি)
.
--হুমমম ঠিক আছে।।।(আমি)
।।।
।।।
।।।
আমি দারিয়ে ছিলাম।আর মেয়েটা আর সেনাপতি ভিতরে ঢুকলো।।।আমার তো মেয়েটার উপরে সন্দেহ হচ্ছিলো।আবার সেনাপতিকে নিয়ে বন্ধি না করে রাখে।।।আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে মাছি মারার চেষ্টা করছি।কিন্তু কোনো মাছিই নেই।কি আর করার অনেকক্ষন পর মেয়েটা আর সেনাপতি আসলো।
.
--হুজুর তারাতারি চলেন আমাদের কাজ হয়ে গেছে।।।(আনিল)
.
--পেয়ে গেছেন।।।এখন আমাদের কোথায় যেতে হবে(আমি)
.
--নকশা লক করা।আমাদের প্রথম এখান থেকে বের হতে হবে।।তারপর লকটা খুলতে হবে।(আনিল)
.
--তারাতারি চলুন এখান থেকে।।।আমাদের এখানে বেশীক্ষন থাকা ঠিক হবে না।।।ধরা পরলে আপনাদের দুজনের গর্দান যাবে।(মেয়েটা)
.
--হুমমম হুজুর চলুন।।।(আনিল)
.
--কিন্তু গেটের এতো নিরাপত্তা বাদ দিয়ে কিভাবে আমরা যাবো।(আমি)
.
--আমাদের মনুষ্যদের আসার রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।সেখানের সব সৈন্য রাজপ্রাসাদে আছে।।আর আমার এক বন্ধু আছে সেখানে যে আমাদের এখান থেকে বের হতে সাহায্য করবে।(মেয়েটা)
.
--হুমমম তাহলে আনিল আর আপনি?(আমি)
.
--আপনি আমাকে নিলা বলতে পারেন।(মেয়েটা)
.
--তাহলে নিলা আর আনিল চলুন যাওয়া যাক।(আমি)
.....
।।।।
সেনাপতি আর নিলাকে নিয়ে আমরা চলে আসলাম গেইটার কাছে।।।আসলেই তেমন কোনো গার্ড নেই এখানে।।।নিলার বন্ধু আমাদের কোনো পরীক্ষা ছাড়াই বের করে দিলো।।।আমরা বের হলাম কবরস্থানের ভিতর দিয়ে।।।ভাগ্য ভালো কেউ দেখে নি।।দেখলে হয়তো ভয়েই মরে যেতো।কবরস্থান থেকে জীবন্ত মানুষ বের হওয়া এটা তো আর স্বাভাবিক না।।।।
।
.
--আচ্ছা আনিল আমি পানিতে থাকলে তো বুঝতেই পারি না আমি পানিতে আছি।।পানির ব্যাপার বাদ দিলাম।।এখন তো এখানে বরফ পরছে।কিন্তু আমি ঠান্ডা অনুভব করছি না কেনো?(আমি)
.
--হুজুর আপনাকে কালকে যে পানীয় খাওয়ানো হয়েছে সেসবের জন্য আপনিও আমাদের মতই হয়ে যাচ্ছেন।।।আপনার অনুভূতি শক্তি আমাদের মতই হয়ে যাবে।।।কিন্তু আপনি মানুষই থাকবেন।(আনিল)
.
--ওওও সেটা তো ভালো খবর।আমাদের পরিচয় এই মেয়ের কাছে গোপনই রাখতে হবে।।।তা নাহলে সমস্যা হতে পারে।(আমি)
.
--হ্যা হুজুর।(আনিল)
.
--আর আমাকে হুজুর বলা বাদ দিন তো।।।এখন আমরা দুজনেই বন্ধু।একে ওপরের নাম ধরে ডাক দিবো।।আমাকে হৃদয় বলবেন।(আমি)
.
--আপনার যা আজ্ঞা।(আনিল)
.
---আচ্ছা এখন আমরা কোথায় যাবো।(নিলা)
.
--আপনি কি সত্যিই আমাদের সাথে যাবেন।(আমি)
.
--হ্যা।।আর আমাকে না নিয়ে গেলে আপনাদের কথা আমি ঔখানে গিয়ে বলে দিবো।।তারপর দেখবেন কি হয়।(নিলা)
.
--না থাক।।।আপনি চলেন আমাদের সাথে।।।তো আনিল এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি।(আমি)
.
--এখন আমরা আমরা সুইজারল্যান্ডের একটা পুরাতন জাদুঘরে যাবো।।সেখানেই আমরা এই নকশার চাবি পাবো।।।সেখান থেকে আমাদের এই লকটা খুলতে হবে।(আনিল)
.
--ওকে তাহলে চলুন।।যাওয়া যাক।(আমি)
.
--হুমমম।কিন্তু তার আগে আমাদের কিছু অস্ত্রের প্রয়োজন হবে।আপনারা হয়তো জানেন না যদি আপনারা দানবদের রাজ্যে ঢুকতে চান তাহলে কিছু অস্ত্রের তো প্রয়োজন হবেই।(নিলা)
.
--মানে দানবদের রাজ্যে কেনো যাবো আমরা?(আমি)
.
--হুমমম সে ঠিকই বলেছে।আসলে?(আনিল)
.
--আবার এটা বইলেন না এখন আরেকটা রাজ্যে ঢুকতে হবে।(আমি)
.
--হ্যা।।।এই ধরনের লক শুধু একজনই বানাই।আর সে হলো জনইক দে।।।সে একজন দানব।তার কাছে ছাড়া এই লক খোলা কোনো পক্ষেই সম্ভব না।(নিলা)
.
--আপনি এসব জানলেন কিভাবে।(আনিল)
.
--কারন আমার আম্মাও আমার জন্য এমন একটাই লক বানিয়ে নিয়ে আসছিলেন সেই জনইক দে এর কাছ থেকে।(নিলা)
.
--ওওও।কিন্তু আনিল আমরা এখন অস্ত্র পাবো কোথায়।।।আগে জানলে তো underworld থেকেই নিয়ে আসতে পারতাম।(আমি)
.
--আমার সাথে চলুন অস্ত্রের ব্যবস্থা আমি করে দিবো।।।শুধু কিছু খরচ পরবে।(নিলা)
.
--ওকে চলুন।(আমি)
।।।।।
।।।।।
আমরা হাটতে লাগলাম বরফের মাঝ দিয়ে।।
.
--রাত হয়ে গেছে।।।আমাদের তো রাতটা কাটাতে হবে আজ।(আমি)
.
--হ্যা সেটার জন্যই তো যাচ্ছি।(নিলা)
.
--এখানে কি আপনার পরিচিত বাসা আছে?(আমি)
.
--পরিচিত না আমার নিজেরই বাসা আছে।(নিলা)
.
--মানে আপনি তো মানুষ না।(আমি)
.
--আমি অর্ধেক পরী অর্ধেক মানুষ।আমার আম্মা ছিলেন পরী।আর আমার বাবা ছিলেন একজন মানুষ।(নিলা)
.
--ওওওও।(আমি)
.
--তাহলে তারাতারি চলুন।।আমাদের এই অদ্ভুদ পোশাকে দেখলে লোকজন পাগল বলবে আমাদের।(আনিল)
.
--হুমমম চলেন।(নিলা)
।।।।
।।।।
নিলার বাসায় চলে আসলাম।।।আমাদেরকে জামা দিলো ওর বাবার দুইটা।।।পরে নিলাম দুজন।।।নিলাকে এখন ভালো করে দেখলাম লাল চোখ,গোলাপী ঠোট লাল,হালকা লাল চুল।।লাল একটা জামা পরেছে একদম লাল পরী মনে হচ্ছেলো।।।আমি হা করেই তাকিয়ে রইলাম।।এতো সুন্দর হবে ভাবতেও পারি নি আমি।।এতো একটা রাজকুমারীর চেয়েও অনেক সুন্দর।।হা করে তাকিয়ে ছিলাম আর সেনাপতি আমাকে হাল্কা ধাক্কা দিলো,
.
--পরেও তাকানো যাবে।(আনিল)
.
--হুমমম।।(আমি)
.
--আপনারা একটু বসুন।।।আমি খাবার অর্ডার দিয়েছি সেটা এখনই চলে আসবে।তারপর খেয়ে ঘুমাবেন।(নিলা)
.
--আপনি তো পরীর মেয়ে আপনার ও ক্ষুদা লাগে?(আমি)
.
--লাগবে না কেনো।।।আমার মাঝে মানুষেরই রক্ত।।আমিও মানুষ।শুধু পার্থক্য আমি মানুষের থেকে আলাদা।(নিলা)
.
--ওওওও।।।আপনাকে আগে দেখতে পারি নি।।আপনি আসলেই অনেক সুন্দর।।।অনেক না আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী।(আমি)
.
--সেটা সবাই বলে।(নিলা)
.
--আসলেই।(আমি)
.
--বাদ দিন তো।।।তো আপনারা এই গুপ্তধনের ব্যাপারে কিভাবে জানলেন যেটার নকশা নিচের দুনিয়ার রাজ্যে ছিলো?(নিলা)
।।।।।
।।।।।
আমি কাশি দিলাম ওর কথা শুনে।
.
--আসলে আমার দাদা আমাকে এই গুপ্তধনের গল্প বলতো।।।আমার দাদা অনেক চেষ্টা করেছিলো এই গুপ্তধনটা পাওয়ার জন্য সে পারে নাই তাই আমি আর আমার মানব বন্ধু চলে আসছি গুপ্তধনের জন্য।(আনিল)
.
--হুমমম ভালো করছেন।।।এখন আমরা তিনজন এখন তো পেয়েই যাবো আমরা।(নিলা)
.
--হুমমম পেলেই ভালো।(আমি)
.
--মনে হয় আমার অর্ডার চলে আসছে।।।(নিলা)
।।।
।।।
একজন পিজ্জা বয় আসলো পিজ্জা দিতে।।।পিজ্জা খেয়ে আমি আর আনিল এক রুমে চলে আসলাম।।।আমি যেভাবে নিলার দিকে তাকিয়ে থাকি নিলাও আমার দিকে সেভাবেই তাকিয়ে থাকে।।।আমি তো ক্ষনিকের ক্রাশ খেয়েছি ওর উপরে।।।ও মনে হয় আমার উপরেও ক্ষনিকের ক্রাশ খেয়েছে।
.
--হুজুর আমার এই মেয়েটাকে সুবিধার মনে হচ্ছে না।(আনিল)
.
--ওর দ্বারাই তো এতো সুবিধা পেলাম সেনাপতি।।।আরো সাহায্য করবে আমাদের সামনে।(আমি)
.
--তবে কেনো জেনো আমার একটু ঘোলাটে লাগছে।(আনিল)
.
--আপনি চিন্তা করবেন না।।।খারাপ কিছু হবে না।।।আজকে একটা ক্লান্তভর দিন গেলো আপনি রেস্ট নিন।(আমি)
.
--হ্যা হুজুর।আপনার বিশ্রামের দরকার।আপনি ঘুমিয়ে পরুন।(আনিল)
.
--আপনিও ঘুমান আমার পাশে।(আমি)
.
--সেটা কি করে হয় হুজুর।(আনিল)
.
--আমি এখন আপনার রাজা নই।।।আমি আপনার বন্ধু।আমার পাশে এসে ঘুমান।(আমি)
.
--ঠিক আছে।।।।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(চলবে)
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।