*জলপরীর প্রেমে*
পার্টঃ১৬
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।।
।।।।।
।।।।।
এমন সুন্দর একটা রাইড পাবো ভাবতেই পারি নাই।।।নিজেকে খুব ধন্য মনে হচ্ছে।।।।নিলা আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে।
.
--কি ভয় লাগছে।(আমি)
.
--হ্যা অনেক।।।(নিলা)
.
--ভয়ের কিছুই নাই।আমাকে শক্ত করে ধরে বসুন।(আমি)
.
--আর কতো শক্ত করে ধরবো?(নিলা)
.
--বসে থাকুন।(আমি)
.
--আপনাদের সাথে আমার আসাই ভুল হয়েছে।(নিলা)
.
--এখনও সময় আছে চলে যান আপনি।আপনার তো আর গুপ্তধনে ভাগ লাগবে না।(আমি)
.
--না কিন্তু আমি আমার জীবনটা একটু এডভেঞ্চারাল করতে চাই।।।আমাকে যদি নিজের পছন্দ মতো ছেলে পছন্দ না করতে দেই।অন্তত এই কাজটা তো করতে দিবে।।।সময় হলে আমি ঠিকই বিয়ে করে নিবো।।।কিন্তু আমাকে কখনো রাজ প্রাসাদ থেকে বেরই হতে দেই না।(নিলা)
.
--ওওওও।এতো কিছু কিভাবে চিনলেন।(আমি)
.
--আমাকে জন্ম দেন একজন মানুষ।মানে আমার বাবা ছিলেন একজন মানুষ।।।।।আর আমার মা ছিলেন নিচের দুনিয়ার রানী।রাজা তাকে কোনো সন্তান দিতে পারে নি তাই তিনি রাগে পৃথিবীতে চলে আসেন।।।আর এসে আমার বাবার প্রেমে পরে যান।।।আর আমার জন্ম হয়ে যায়।।।রাজা যখন শুনতে পান তার রানী এমন করেছে তিনি আমার আম্মা আর আমাকে নিয়ে চলে আসেন এখানে।।।আর আমাদের শোকে আমার বাবা মারা যান।(নিলা)
.
--অনেক দুঃখময় কাহিনী।(আমি)
.
--হ্যা।কিন্তু রাজা আমাকে তার মেয়ের মতই ভালোবাসে।।।আমি যখন ৮ বছরের হই তখন আমার আম্মা মারা যান।(নিলা)
.
--ওওও।।।আমি দুঃখিত আপনাকে এসব কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।(আমি)
.
--আরে না।।।বাদ দিন তো এসব কথা।।।আপনাকে যেমন ভেবেছি আপনি তো দেখছি তার থেকেও অনেক ভালো।(নিলা)
.
--হ্যা সেটা বলতে পারেন।(আমি)
.
--আর কতক্ষন লাগবে আমাদের।(নিলা)
.
--আর একঘন্ঠা লাগবে।(আনিল)
.
--ওওও।।।(নিলা)
।।।।।
।।।।।
অনেকটা তারাতারিই পৌছে গেলাম আমরা।।।আমরা পৌছে গেলাম একটা সমুদ্র সৈকতের পাশে।।।।দেখে তো মনে হচ্ছে জায়গাটা গোয়া।এখান থেকে আমাদের রাজস্থান যেতে হবে।।।।।
.
--এখান থেকে আমারা কিভাবে যাবো।(নিলা)
.
--আমরা এখান থেকে গাড়ি অথবা প্লেনে যেতে পারি।(আমি)
.
--সেটার জন্য অনেক সময় লেগে যাবে।।।আমার এখানে একজন লোক থাকার কথা।তাকে আমি আমার ফোন দিয়ে ফোন দিচ্ছি।(আনিল)
।।।।।
।।।।।
সেনাপতি আমাকে এর আগে যে ফোন দিয়েছিলো সেটা দিয়ে ফোন দিলো।।।।১০ মিনিট পরই পানি থেকে একটা জলমানব উঠলো।।।অন্য সবাই তো মানুষ ই ভেবেছে।।।কিন্তু আমরাই বুঝেছি সে কে?
.
--জনাব কিভাবে সাহায্য করতে পারি।(জলমানব)
.
--আমাদের এখান থেকে রাজস্থান যেতে হবে।।।সবচেয়ে সহজ রাস্তা কোনটা হবে।(আমি)
.
--হুজুর সবচেয়ে সহজ বলতে একটা সুরুঙ্গ রয়েছে।।।সেখান দিয়ে গেলে একঘন্টা লাগবে।সেটা পুরোনো ট্রেনের রাস্তা।।।ছোট ট্রেন আছে আপনারা খুব তারাতারিই যেতে পারবেন।(জলমানব)
.
--তাহলে আমাদের জায়গাটা দেখান।(আমি)
.
--আমার সাথে চলুন।(জলমানব)
।।।।।
।।।।।
ওর সাথে যেতে লাগলাম।
.
--উনিও আপনাকে হুজুর কেনো বলতেছে।(নিলা)
.
--কি জানি।।।জলমানব রা মনে হয়ে এমনই।।।মানুষ দেখলেই হুজুর বলে।(আমি)
.
--আমার তো সেটা মনে হয় না।।।ঔটা মনে হয় ঔযে আনিলের লোক।।।সে আপনাকে হুজুর বলে তাই উনিও আপনাকে হুজুর বলে।(নিলা)
.
--বাবা আপনি তে খুব বুদ্ধিমান।।।আমি ভাবতেও পারি নাই এতো বুদ্ধিমান আপনি হবেন।(আমি)
.
--হুমমম সেটা তো আমি আগে থেকেই।(নিলা)
.
--হুমমমম।
।।।।
।।।।
পৌছে গেলাম নির্দিষ্ঠ জায়গায়।।।এখান থেকে আমাদেরকে যেতে হবে সোজা রাজস্থান।।।।কিন্তু সেটা হলো কোথায়।।।নিচের দুনিয়ার সৈন্যরা আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলো।।।আমাদের বের হওয়ার কোনো রাস্তাই নেই।আমরা যে কিছু করবো তার আগেই তারা একটা মেশিনে কি যেনো করলো আর আমরা সাথে সাথে নিচের দুনিয়ায় চলে আসলাম।।।মনে হচ্ছে এইটা টেলিপর্টার মেশিন ছিলো।।।
.
--আনিল এরা তো আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে।(আমি)
.
--হ্যা হুজুর দেখতে পেরেছি আমিও।(আনিল)
.
--এখন আপনারা কি করবেন।(নিলা)
.
--কিছুই করার নেই আমাদের।।।আত্মসমর্পণ করতে হবে।(আনিল)
.
--তারচেয়ে ভালো কোনো বুদ্ধি নেই।(নিলা)
.
--তাদের এতো অাধুনিক অস্ত্রের কাছে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজ করবে না।।।(আমি)
.
--আমার জন্য আপনাদের এতো কিছু হলো আমাকে মাফ করবেন।(নিলা)
.
--আমি আগেই বলেছিলাম হুজুর ওনাকে ছেড়ে দিতে।।।।ওনার জন্যই হলো এতো কিছু।।।এখন তো পরিচয় দিতেই হবে।(আনিল)
.
--হুমমম।।।(আমি)
।।।।।
।।।।।
আমাদের দুজনের হাত বেধে রাজ প্রাসাদে রাজার কাছে নিয়ে আসলো।নিলাকে নিয়ে বসানো হলো রাজার পাশেই।।।রাজাকে দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছিলো।।।একদম কার্টুন টাইপের রাজা।
.
--তোমাদের সাহস হলো কিভাবে রাজকন্যাকে নিয়ে পালানোর।(রাজা)
.
--আমরা......(আনিল)
.
--চুপ।।।।পরিচয় দাও তোমাদের।(রাজা)
.
--আমি আনিল হিলরাস।।।জলপুরীর প্রধান সেনাপতি।।।আর উনি জলপুরীর রাজা দ্বিতীয় হিলোরাস।(আনিল)
.
--একজন মানব জলপুরীর রাজা।।।শুনে হাস্যকর মনে হচ্ছে।(রাজা)
.
--আমাদের পূর্ব রাজা হারকিউমাস ও মানব ছিলেন তিনি যদি রাজা হতে পারেন আর আমাদের রাজা হিলোরাসের সর্বশক্তি যদি ওনার মাঝে থাকে তাহলে উনি কেনো রাজা হতে পারবেন না।(আনিল)
.
--তাহলে হিলোরাস এই পিচ্চি ছেলের জন্য নিচের জীবন ত্যাগ করেছিলো।(রাজা)
.
--এই পিচ্চি ছেলে না।।।আমাদের এ রাজার জন্য।(আনিল)
.
--যত যায় হোক আপনারা অপরাধ করেছেন।যেটার শাস্তি আপনাদের পেতে হবে।(রাজা)
.
--বাবা আমিই উনার সাথে পালিয়ে গিয়েছিলাম।উনাদের কোনো দোষ নেই।(হঠাৎ নিলা বলে উঠলো)
.
--বেশ রাজকন্যা যখন নিজেই স্বিকার করলো সে নিজেই পালিয়েছে তাই আপনাদের শাস্তি থেকে মুক্ত দেওয়া হলো।।।কিন্তু যেহেতু আপনারাও অপরাধ করেছেন আর এতে আমার সম্মান হানী হয়েছে তাই আপনাকে একটা কাজ করতে হবে।(রাজা)
.
--কি কাজ শুনি।(আমি)
.
--কালকে আমাদের রাজ্যে গেলুঘোর অনুষ্ঠান হবে।।।সেখানে আপনাকে একজনের সাথে লড়াই করতে হবে।।।যদি জিতে যান তাহলে আপনারা এখান থেকে সসম্মানে যেতে পারবেন।।।আর যদি হেরে যান তাহলে বন্দী থাকতে হবে আমাদের জেলখানায়।(রাজা)
.
--হ্যা আমি রাজি।(আমি)
.
--ঠিক আছে তাহলে আজকের জন্য আপনারা আমাদের অতিথি।সেনাপতি উনাদেরকে অতিথিদের রুমে রেখে আসুন।(রাজা)
.
--জ্বী হুজুর।(ওদের সেনাপতি)
।।।।
।।।।
আমরা চলে আসলাম একটা বিশাল রুমে।।।অনেক সুন্দর একটা ঘর।।।ভালো লাগছে।
.
--হুজুর আপনি কি পারবেন।নাকি আমরা যুদ্ধের ঘোষনা করবো?(আনিল)
.
--আপনি যে প্রশিক্ষন আমাকে দিয়েছেন এতে তো মনে হচ্ছে পারবোই।।।আর দেখা যাক কি হয় কালকে।(আমি)
.
--যার সাথে কালকে লড়াই করবেন সে সব দিক দিয়েই শক্তিশালী তাকে হারানো কোনো দিক দিয়েই আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।(নিলা)
.
--আপনি?(আমি)
.
--দেখিন আপনি এমনিতেই আমাদের অনেক বিপদে ফেলেছেন এখন যান নাহলে আরো বিপদে পরবো আমরা।(আনিল)
.
--দেখুন আমি শুধু বলতে আসছি।।।পানিই আপনার অস্ত্র হবে।।।কারন যার সাথে লড়বেন সে হলো আমাদের এইখানের সেনাপতি।।।সে একজন জ্বীন।।।কিন্তু পানিতে খুব ভয় পাই।।।।(নিলা)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।